• সামনেই ভোট, হেলিপ্যাডগুলির হাল জানতে রিপোর্ট চাইল রাজ্য
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: সামনেই বিধানসভা ভোট। কয়েকমাস পরেই শুরু হয়ে যাবে প্রচারের তোড়জোড়। একদিনে একাধিক জায়গা কভার করতে আকাশ পথে যাতায়াত করবেন নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের উড়িয়ে নিয়ে জনসভার কাছাকাছি পৌঁছে দেবে চপার। কিন্তু সেই চপার নামার জন্য গ্রামেগঞ্জে যেসব অস্থায়ী হেলিপ্যাড রয়েছে, সেগুলির বর্তমান হাল জানতে চেয়ে জেলা জেলায় পরিবহণ দপ্তরের কাছে চিঠি পাঠাল রাজ্যের নিরাপত্তা বিভাগ। চিঠিতে প্রতিটি হেলিপ্যাড সরেজমিনে খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। সেই মতো বাঁকুড়ার ৪৮টি অস্থায়ী হেলিপ্যাডের বর্তমান অবস্থা জানতে এবার পরিদর্শন করবেন পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা। পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, জেলার অস্থায়ী হেলিপ্যাডগুলির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। সেইমতো পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠানো হবে। 

    দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা বিভাগের পাঠানো চিঠিতে প্রতিটি হেলিপ্যাড নিয়ে পাঁচটি বিষয়ের উপর রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তাতে হেলিপ্যাডের ল্যান্ডিং এলাকার আয়তন জানতে চাওয়া হয়েছে। হেলিপ্যাডের আশেপাশে গাছ, উঁচু বিল্ডিং অথবা টাওয়ার রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। হেলিপ্যাডের সারফেস এলাকা শক্ত, ঘাসযুক্ত, বালুকাময় নাকি ধুলোময় তা জানাতে হবে। শেষবার কবে ওই হেলিপ্যাডে চপার নেমেছিল এবং হেলিপ্যাডে যাওয়ার রাস্তা পাকা না কাঁচা রয়েছে, তাও  জানাতে বলা হয়েছে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলায় মোট ৪৮টি অস্থায়ী হেলিপ্যাড রয়েছে। তারমধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় কোনও স্কুল মাঠ হেলিপ্যাড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লকেই এক বা একাধিক অস্থায়ী হেলিপ্যাড খাতায় কলমে রয়েছে। ভোটের আগে ওইসব হেলিপ্যাড প্রস্তুত রাখতে হয়। তার কারণ ভোটের সময় কোন এলাকায় রাজনৈতিক জনসভা হবে, তা আগে থেকে ঠিক থাকে না। সেজন্য অস্থায়ী হেলিপ্যাডগুলি প্রস্তুত রাখতে হয়। তার কারণ চপার নামার জন্য বেশকিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। বিধানসভা ভোট খুব বেশি দেরি নেই। তাই আগেভাগেই সেগুলি প্রস্তুত করতে হবে। সেজন্য হেলিপ্যাডগুলির বর্তমান হাল জানাতে বলা হয়েছে। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৪৮টির মধ্যে বাঁকুড়া সদর থানা এবং রাইপুর থানা এলাকায় সবচেয়ে বেশি পাঁচটি করে হেলিপ্যাড রয়েছে। এছাড়াও খাতড়া, জয়পুর, বেলিয়াতোড়, সারেঙ্গা ও বিষ্ণুপুরে তিনটি করে রয়েছে। সোনামুখী, ইন্দাস, হিড়বাঁধ, রানিবাঁধ, গঙ্গাজলঘাঁটি, কোতুলপুর ও তালডাংরায় দু’টি করে রয়েছে। মেজিয়া, সিমলাপাল, ওন্দা, বারিকুল, ছাতনা, পাত্রসায়র, ইন্দপুর, শালতোড়া ও বড়জোড়ায় একটি করে রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)