• নেপালে গৃহবন্দি নদীয়ার তরুণী, ভুগছেন আশঙ্কায়
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: নেপালে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন নদীয়ার তরুণী কল্পনা বিশ্বাস। ক’ দিন ধরেই নেপাল অগ্নিগর্ভ। চলছে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট। সরকারি দপ্তর বলে কিছুই আর নেই। কল্পনার বাড়ি নদীয়ার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন বেতাই লালবাজার গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নেপালের  রথোহার জেলার গৌড় বলে একটি জায়গায় খাবারের দোকান চালাতেন। দোকান খুলতে পারছেন না। দোকানের কর্মচারীদের ছুটিতে পাঠিয়ে তিনি এখন ঘরবন্দি। 

    কল্পনা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি খাবারের দোকান চালাতেন। এখন নেপালের অবস্থা ভালো না, প্রশাসনের সমস্ত দপ্তর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, সমস্ত ব্যাংক লুট হয়ে গিয়েছে, যে কারণে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট  বাতিল বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের তেমন কোনও সমস্যা না হলেও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তিনি। কখন কী ঘটে যায় বলা দুষ্কর। এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ, কেউ বাইরে বেরচ্ছেন না। রাস্তাঘাটে মিলিটারির গাড়ি ছাড়া অন্য যানবাহন দেখা যাচ্ছে না। জেল ভেঙে দাগি আসামীদের বের করে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, ভয়াবহ অবস্থা হবে। দেখা দেবে খাদ্য সংকট। ঘরে মজুত খাবার শেষ হয়ে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। তাঁর কাছে যা খাবার রয়েছে, তাতে কয়েকদিন চলবে। তারপরে কী হবে এখন বলা কষ্ট। সমস্ত দোকান বন্ধ। আমার এই ছোট্ট দোকান থেকে যা রোজগার হয় তাই দিয়ে কর্মচারী এবং আমার খরচা রেখে বাদবাকি বাড়িতে পাঠাতে হয়। বাড়িতে রয়েছে আমার ১২ বছরের মেয়ে, বোন এবং বোনের মেয়ে। বাবা-মা গত হয়েছেন। এদের সকলের দায়িত্ব আমার উপরে। এখন কী করব ভেবে উঠতে পারছি না। কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি, ফিরে আসবে শান্তি, সেই দিকেই তাকিয়ে আছি।  কল্পনা দেবীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, নাবালিকা দুই কন্যা ছাড়া বাড়িতে আর কেউই নেই। একজন কল্পনা দেবীর মেয়ে, অপরজন তাঁর বোনের মেয়ে। কল্পনা দেবীর বোন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর মেয়ে জানায়, মা নেপালে ভালোই আছে, প্রত্যেকদিন দুই থেকে তিনবার ফোন করে আমাদের খবর নেয়, ভালোই আছে। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)