• লাভপুরে বাঁধের দুর্বল অংশ পরিদর্শনে আধিকারিকরা
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: ভারী বৃষ্টি হলেই ফুলেফেঁপে ওঠে কুয়ে নদী। ভেঙে যায় বাঁধ। হু হু করে জল ঢুকে পড়ে। প্রায় প্রতি বছরই বীরভূমের লাভপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। গত বছরেও লাভপুরের ঠিবা, লাগলহাটা, কাজিপাড়া সহ বহু গ্রাম জলের তলায় চলে যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল চাষিদের। কয়েকশো একর জমির ধান জলের তলায় চলে গিয়েছিল। এবার সেই বাঁধ মেরামতিতেই উদ্যোগী হতে চলেছে সেচদপ্তর। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এনিয়ে প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তা রাজ্যে পাঠানো হবে। অর্থ বরাদ্দ হলেই বাঁধের মেরামতির কাজ শুরু হবে। 

    শুক্রবার বাঁধের দুর্বল অংশগুলি পরিদর্শন করেন সেচদপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন সেচদপ্তরের জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সমর সরকার, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিডিও শিশুতোষ প্রামাণিক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শোভন চৌধুরী প্রমুখ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেচদপ্তরের পদস্থ এক কর্তা বলেন, এর আগেও আমরা বাঁধের দুর্বল অংশগুলি পরিদর্শন করেছি। মোট ১২ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে প্রায় তিন কিলোমিটার দুর্বল অংশ আমরা চিহ্নিত করেছি। ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট(ডিপিআর) তৈরি করে শীঘ্রই তা রাজ্যে পাঠানো হবে। 

    বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ বলেন, অতি বৃষ্টি কিংবা ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ার ফলে প্রায় প্রতি বছরই কুয়ে নদীর জলস্তর বাড়ে। বাঁধ ভেঙে যায়। বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ফসলের ক্ষতি হয় মারাত্মক। বিষয়টি আমি বারংবার বিভিন্ন প্রশাসনের বৈঠকে তুলে ধরেছি। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন। 

    প্রশাসন সূত্রের খবর, অন্যান্য বছর বর্ষার পর ফের মাটি দিয়েই বাঁধ মেরামতি করা হয়। তাতে সরকারের প্রচুর টাকা খরচ হলেই ফের বাঁধ ভেঙে যায়। সমস্ত অর্থ কার্যত জলে যায়। তবে এবার বাঁধের বিপজ্জনক অংশগুলি বোল্ডার ও কংক্রিট দিয়ে মেরামতি করা হবে। যাতে তা বহু বছর টেকসই হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)