• ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অপদার্থতার জন্যই সন্তানহারা অভিভাবকরা’
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘অপদার্থ! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে এছাড়া আমার মুখে আর কোনও ভাষা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পড়ুয়ারা অবাধে মদ্যপান করছে। পার্টি চলছে। ২০২৩ সালে একটা মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও কোনও হুঁশ ফেরেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। মেইন হস্টেলে আমার ছেলেকে র‌্যাগিং, যৌন নির্যাতনের পর খুন করা হল। তা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় হওয়ার হল। কিন্তু কিছু বদলাল না! যাদবপুর আছে যাদবপুরেই! বৃহস্পতিবার রাতে আরও এক ছাত্রীর মৃত্যু হল। এই ঘটনায় দায়ী কারা? প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই তো দায় নিতে হবে। তারপর তো অন্য কেউ।’ 

    বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঝিল থেকে উদ্ধার হয় স্নাতক স্তরের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের দেহ। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ২০২৩ সালে মেইন  হস্টেলে নিগৃহীত ও মৃত ছাত্রের বাবা কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন। উল্লেখ্য, ওই বছর ৭ আগস্ট রাতে মেইন হস্টেলের দোতলার বারান্দার নীচ থেকে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, হস্টেলের সিনিয়ররা র‌্যাগিং ও যৌন নিগ্রহ চালায় প্রথম বর্ষের ১৭ বছর বয়সি ওই পড়ুয়ার উপর। এখনও তাঁর বাবা-মা সুবিচারের আশায় বসে রয়েছেন। 

    অনামিকার বন্ধুরাই জানাচ্ছেন, তিনি মদ্যপান করেছিলেন। কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পড়ুয়ারা মদ্যপানের সাহস পান? একটি শিক্ষাক্ষেত্র কীভাবে আনন্দ-ফুর্তি-বেলেল্লাপনার এতটা মুক্তাঞ্চল কীভাবে হয়ে উঠতে পারে? প্রশ্ন তুলছেন সন্তানহারা বাবা। তাঁর দাবি, ‘আমার ছেলের মৃত্যুর পর সরকারের তরফে বিপুল টাকা খরচ করে তো সিসি ক্যামেরা লাগানো হল। তাতে কী লাভ হল? সেই তো আবার মরতে হল এক ছাত্রীকে।’ তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির উপর ভরসা করা যায় না। কারণ, আমার ছেলের ঘটনাটার সময় অনেককে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল কর্তৃপক্ষ। তারপর এখন তারা মহানন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)