• তৃণমূলে ‘গ্রুপবাজি’ বরদাস্ত করা হবে না, কৃষ্ণনগরে বৈঠকে অভিষেকের বার্তা
    বর্তমান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে হবে। চলতে হবে সবাইকে নিয়ে। কোনও ধরনের গোষ্ঠীবাজি চলবে না। দলের বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক জানিয়ে দিয়েছেন, এখন তৃণমূলের সামনে একটাই লক্ষ্য—২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ২৯৪টি আসনেই জোড়াফুল ফোটানো। এখন সেখানে সমস্ত নেতা-কর্মীর একমাত্র কাজ বুথ স্তরে দলকে শক্তিশালী করা। এই কাজে কোনও ধরনের গোষ্ঠীবাজি বরদাস্ত করা হবে না।

    গত কয়েকদিন ধরে জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা বৈঠক করে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার তৃণমূলের পদাধিকারী এবং বিধায়কদের কলকাতায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বিধানসভা আসন ভিত্তিক আলোচনা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা নিয়ে দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে মতবিরোধ সামনে চলে এসেছিল। সেখানে দেখা যায়, জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে দলের সুপ্রিমোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিধায়করা। আবার দলকে না জানিয়ে সদ্য কৃষ্ণনগর পুরসভায় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলার। এ নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। এই অবস্থায় শুক্রবার অভিষেকের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। বৈঠকের পর একাধিক নেতা বলেছেন, কাউকে বাদ দিলে হবে না। সবাইকে নিয়েই চলতে হবে। স্থানীয় স্তরের সমস্যাগুলি মেটাতে হবে আলোচনার মাধ্যমে। ব্লক ধরে ধরে ১৫ দিন অন্তর আলোচনা করতে হবে, এটাই স্পষ্ট নির্দেশ।

    কৃষ্ণনগর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে গণতন্ত্র আছে। আমরা বিজেপির মতো ফ্যাসিবাদী দল নই, আমরা ডানপন্থী দল। মত বিরোধ থাকবে, আবার তা কেটেও যাবে। ঝগড়া, লড়াই, ভাব—সবই থাকবে। কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলায় সবকটি বিধানসভা আসনে জয়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বৈঠক থেকে নির্দেশ, যে বুথগুলিতে তৃণমূলের হার হয়েছে, সেখানে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। আরও বেশি করে যাওয়া দরকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়ন এবং সবার পাশে থাকার বিষয়টি মানুষকে বোঝানো জরুরি। যেসব বুথে বিরোধীরা শক্তিশালী, সেখানে বাড়তি নজর দেওয়া চাই। আইএসএফ কোথায় কী কাজ করছে, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)