• পুকুরপাড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন যাদবপুরের ছাত্রী? রাতে ৪ নম্বর গেটের সামনে কী ঘটেছিল? তিনটি সিসি ক্যামেরায় নজর
    আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনের পুকুর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার করা হয়েছে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের দেহ। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, এখনও স্পষ্ট নয়। যাদবপুর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আপাতত চার নম্বর গেটের সামনের তিনটি সিসি ক্যামেরায় নজর রয়েছে। রাতে কী ঘটেছিল, তা সেখানে ধরা পড়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারে ফরেন্সিক দল।

    অনামিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাড়ি বেলঘরিয়া নিমতা এলাকায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অনুষ্ঠান চলছিল। অনামিকা সেখানে ছিলেন। চার নম্বর গেটের কাছে ইউনিয়ন রুমের পাশ দিয়ে পুকুরপাড় বরাবর একটি সরু রাস্তা আছে। সেখান দিয়ে গেলে শেষ প্রান্তে রয়েছে দু’টি শৌচাগার। অনামিকা সে দিকে গিয়েছিলেন কি না, সেখান থেকে পুকুরে পড়ে গিয়েছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাত ১০টা ২০ নাগাদ পুকুরে তাঁকে ভাসতে দেখেন ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা। তার পর উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী কেপিসি হাসপাতালে। সেখানে অনামিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেট দিয়ে ঢুকেই বাঁ দিকে কলা বিভাগের বিল্ডিং। সেখানে ইংরেজি বিভাগও রয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ের মুখেই রয়েছে একটি সিসি ক্যামেরা। তা চার নম্বর গেটের দিকে তাক করা। এ ছাড়া, সিকিউরিটি রুমের কাছে একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং কলা বিভাগের দিকে রয়েছে আরও একটি সিসি ক্যামেরা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কী ঘটেছিল, তা এই সমস্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে থাকতে পারে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

    ২০২৩ সালের অগস্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘিরেও রহস্য দানা বেঁধেছিল। তিনি হস্টেলের আবাসিক ছিলেন। অভিযোগ, মেন হস্টেলে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন তিনি। তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাড়িয়ে দেওয়া হয় নজরদারি। বসে অতিরিক্ত অনেক সিসি ক্যামেরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় আই-কার্ড এখনও যাচাই করা হয় না বলে দাবি পড়ুয়াদের একাংশের। শুক্রবারের ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা নিয়ে রহস্য ক্রমে বাড়ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)