• যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ হবে শিয়ালদহ স্টেশনে চত্বরে, তৈরি হচ্ছে চার লেন, কোন গাড়ি কোথায় দাঁড়াবে?
    আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে দীর্ঘ ক্ষণ গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আর যাবে না। ব্যক্তিগত গাড়ি হোক বা ট্র্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব— সব কিছুর জন্যই শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ঢোকা এবং বার হওয়ার পথ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে পূর্ব রেল।

    কলকাতার একটি ব্যস্ততম স্টেশন শিয়ালদহ। প্রতি দিন লাখ লাখ লোক শহরতলি থেকে রুটিরুজির টানে কলকাতায় আসেন। তাঁদের অনেকেই শিয়ালদহ স্টেশন হয়েই যাতায়াত করেন। শুধু তা-ই নয়, অনেক দূরপাল্লার মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনও ছাড়ে শিয়ালদহ থেকে। এ বার শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে চলেছে পূর্ব রেল। গাড়ি ঢোকা এবং বার হওয়ার পথ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে যান চলাচলের জন্য তৈরি করা হবে চার লেনের রাস্তা। কোন লেনে কোন গাড়ি যাতায়াত করবে, তা-ও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে রেল।

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, স্টেশনের দিকে যে লেন থাকবে, তাতে শুধু অটো এবং রিকশা ঢোকা-বেরোনোর জন্য তৈরি হবে। তার পাশের লেন বরাদ্দ করা হয়েছে হলুদ ট্যাক্সি বা প্রিপেড ট্যাক্সির জন্য। তবে ট্যাক্সি নিয়ে বেশি ক্ষণ ওই লেনে থাকা যাবে না। ওই লেন শুধু যাত্রী ওঠা-নামানোর ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে পারবেন চালকেরা। এর পরের লেন তৈরি করা হবে অ্যাপ ক্যাব এবং বাইকের জন্য। পাশাপাশি, ওই লেনে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও যেতে পারবেন যাত্রীরা। সাধারণত এই লেনে দু’টি অংশে ভাগ থাকছে। যদি শুধু যাত্রী ওঠানো বা নামানোর জন্য হয় তবে তার জন্য নির্দিষ্ট অংশ থাকবে। আর এক অংশে গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন যাত্রীরা। শেষ লেনটি বরাদ্দ করা হবে পার্কিংয়ের জন্য। শুধু তা-ই নয়, ওই লেন ভিআইপি যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে।

    শিয়ালদহ স্টেশনে ‘পিকআপ’ এবং ‘ড্রপ’-এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে। শহরতলির যাত্রী অর্থাৎ যাঁরা সাধারণত লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাঁদের গাড়ি ধরার আলাদা ‘পিকআপ’ এবং ‘ড্রপ পয়েন্ট’ থাকবে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। আর দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোথায় গাড়ি দাঁড় করানো যাবে, কোথায় নয়— তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে।

    শিয়ালদহ স্টেশনে কেন এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে? শিয়ালদহের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনার কথায়, ‘‘শিয়ালদহ কলকাতার একটি ব্যস্ততম স্টেশন। এই স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতি দিন লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। স্টেশন চত্বরের যানজট এড়াতে ট্র্যাফিক মসৃণ রাখতে নতুন পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’’

    পুজোর মরসুমে শিয়ালদহ স্টেশন এবং স্টেশন চত্বরের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জরুরি প্রয়োজনে শিয়ালদহ স্টেশনে গাড়ি পার্কিং দুর্গাপুজোর চার দিন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও, পুজোর দিনগুলিতে, অর্থাৎ বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনে ট্রলি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছিল। পুজো মিটলেই শিয়ালদহ স্টেশনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা শুরু করবেন কর্তৃপক্ষ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)