• দিল্লি-তে গোপন মাদক চক্র ফাঁস! পালিয়েও রেহাই পেলনা অভিযুক্তরা, হাতেনাতে পড়ল ধরা ...
    আজকাল | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা একটি বড় মাদকচক্রের হদিস পেয়েছে। শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর অনুযায়ী, তাদের কাছ থেকে মোট ১৯৪ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ২.২৫ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির বাসিন্দা রাহুল ওয়াধওয়া (৩২), উত্তরপ্রদেশের আব্দুল কাদির (২৯) এবং নাইজেরিয়ার নাগরিক চিমেজি লাজারাস ইনডেডিঙ্গে ওরফে জুডো (৩৫)- কে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ওয়াধওয়া এবং কাদির আগে ট্যাক্সিচালক ছিল। আর জুডো ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য ভারতে আসে, পরে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে মাদক পাচারের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।

    পুলিশ জানিয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর একটি গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায় যে, ওয়াধওয়া এবং কাদির রোহিণীতে কোকেনের চালান পৌঁছে দিতে আসছে। এরপরই ফাঁদ পেতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কাদিরের কাছ থেকে ৫৪ গ্রাম এবং ওয়াধওয়ার কাছ থেকে ৩১ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত হয়। জেরার সময় তারা জানায়, মাদকের মূল সরবরাহকারী জুডো। সেই সূত্র ধরে ১০ সেপ্টেম্বর মেহরৌলিতে অভিযান চালিয়ে জুডোকে ধরা হয়। এরপর তার কাছ থেকে প্রায় ১০৯ গ্রাম কোকেন উদ্ধার হয়।

    তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জুডো দিল্লি ছাড়াও গুরুগ্রাম, মিরাঠ, চণ্ডীগড় এবং হালদওয়ানিতে কোকেন সরবরাহ করত। সে কাদিরকে প্রতিটি চালানের জন্য এক হাজার টাকা করে দিত, পরে কাদিরের মাধ্যমে ওয়াধওয়া এই চক্রে যোগ দেয়। তবে তিনজনের কারও বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না।

    ঘটনার জেরে অপরাধ দমন শাখার এক সিনিয়র আধিকারিক বলেন, 'এটি একটি সুসংগঠিত আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের অংশ হতে পারে। আমরা এই নেটওয়ার্কের অর্থনৈতিক যোগসূত্র এবং বিদেশি যোগাযোগগুলি খতিয়ে দেখছি।' পুলিশের অনুমান, চক্রটির সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে।

    এই ঘটনার পর রাজধানী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাদক পাচারের নতুন রুট ও চক্রের সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখন তদন্ত জারি থাকবে। দ্রুত এর জেরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ 
  • Link to this news (আজকাল)