খুন না কি সাধারণ দুর্ঘটনা? সত্য উদ্ঘাটনে কবর থেকে তোলা হল নয় বছরের শিশুর দেহ...
আজকাল | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়ার শিশু মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত। ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো ৯ বছরের শিশু আহন কুন্ডুর দেহ। চলতি মাসের ৯ তারিখ খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডুর ছেলে আহন। খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর শিশুটিকে কবর দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে মৃত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।
এটি খুন না কি সাধারণ দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু তা জানতে পুলিশ আদালতের নির্দেশে শুক্রবার শিশুটির দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যদিও এই মৃত্যু ঘিরে ব্যপক উত্তেজনা জগৎবল্লভপুরে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সৌমিত্র মজুমদারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডুর ছোট ছেলেকে পাড়ারই একজন খুন করে জলে ফেলে দিয়েছে। প্রথমে শিশুটির দেহ কবর দেওয়া হয়। পরে খুন হয়েছে অনুমান করে শিশুটির দেহ শ্মশানের মাটি খুঁড়ে তোলা হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
অপর এক স্থানীয় বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাসের অভিযোগ, 'পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রঞ্জন কুন্ডুর ছোট ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম এটি একটি দুর্ঘটনা। পরবর্তী সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে শিশুটিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এরপর সেই শিশুটিকে জলে ফেলে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত এলাকারই বাসিন্দা। শিশুটিকে কবর থেকে তোলা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।' তাঁর দাবি, অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি।
যদিও এই ঘটনাটি এখনও পর্যন্ত খুন বলতে নারাজ পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরেই খুন কি না তা জানা যাবে বলে জানিয়েছে তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের অর্ডার নিয়ে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। এমনকি খুন হওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পর এটি খুন নাকি সাধারণ দুর্ঘটনায় মৃত্যু তা জানা যাবে। তবে মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে।
উল্লেখ্য, এই বছর ২৮ মার্চ হাওড়া ডোমজুড়-এর ডাঁসপাড়ায় বল নিয়ে বিবাদের জেরে মৃত্যু হয় চার বছরের শিশু আয়ুস শেখের। শিশুকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় এক নাবালককে। আবার এই বছরই ২২ শে জুন হুগলির খানাকুলে ৪ বছরের এক শিশু কৃষ্ণ কোলে খুন হয়। শিশুটিকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তার সৎমা'কে। এর পাশাপাশি চলতি মাসে নদীয়ার তেহট্টের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ৯ বছরের একটি শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। পরেরদিন দুপুরে তার দেহ উদ্ধার করা হয় বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে খেলতে বেরিয়ে আর ফিরে না আসায় প্রথমে এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পাওয়ায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে তেহট্ট থানায় অভিযোগ জানানো হয়। শেষপর্যন্ত পরেরদিন একটি ত্রিপলে জড়ানো অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়।