• কৃষ্ণনগরে সরব শুভেন্দু, তৃণমূলের বৈঠকে মহুয়া
    আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকদের অসম্মানের অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর প্রশ্ন, সরকারি প্রকল্পের টাকা মহুয়া আত্মীয়-স্বজনের টাকায় দেওয়া হয়? মহুয়ার পাল্টা বক্তব্য, বিজেপি রাজনীতি করছে।

    রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর সঙ্গে ভোট দেওয়ার বিষয়টিকে জুড়ে দিয়ে সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। অভিযোগ, নদিয়ার একটি জায়গায় ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এর সুবিধা নিয়েও তৃণমূলকে ভোট না-দেওয়ার কথা বলে বিরক্তি প্রকাশ করেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরে শুক্রবার প্রতিবাদ সমাবেশ করে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘এ ভাবে অপমান মানা যায়? বলছেন, ৮৫% ভোট দেন বিজেপিকে আর আমাদের কাছে এসে লক্ষ্মীর ভান্ডার নেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৈতৃক সম্পত্তি বেচে দেন, না মহুয়া মৈত্র তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে বিদেশ থেকে টাকা নিয়ে এসে বিতরণ করেন? সাধারণ মানুষের করের টাকায় দেওয়া হয়।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর অভিযোগ, ‘‘মোদীজি কত বাড়ি দিয়েছেন! চোরেরা সব খেয়ে ফেলেছে।’’ যদিও মহুয়ার বক্তব্য, তিনি ভুল কিছু বলেননি। বিজেপি রাজনীতি করছে।

    বিধানসভা ভোটের আগে মহুয়ার নির্বাচনী কেন্দ্র কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে এ দিনই দলীয় বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের কথা মনে করিয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করতে বলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই কমিটির সভাপতি হিসেবে দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন রয়েছে মহুয়াকে নিয়ে। একাধিক বিধায়ক ও দলীয় নেতারা একাধিক বার তা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে মহুয়াও উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে এ দিন বর্ধমান পশ্চিম জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেও ঐক্যবদ্ধ ভাবে ভোটের প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)