রোজ় ভ্যালি অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের টাকা দ্রুত ফেরাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং বিশেষজ্ঞ সংস্থার সাহায্য প্রয়োজন বলে দাবি করলেন কোর্ট গঠিত অ্যাসেট ডিসপোজ়াল কমিটির (এডিসি) চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতির দিলীপকুমার শেঠ। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে তিনি জানান, বর্তমানে যে ব্যবস্থা আছে তাতে মাসে তিরিশ হাজার আবেদনপত্রের মূল্যায়ন করে দশ হাজার আমানতকারীর টাকা দিতে পারবে এডিসি। এই পদ্ধতিতে কাজ চললে সব আমানতকারীর টাকা ফেরাতে কুড়ি বছরের বেশি সময় লাগবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে কথাও বলেছে এডিসি। এডিসি-র বর্তমান ওয়েবসাইটকে উন্নত করতে তিন মাস সময় লাগবে বলেও চেয়ারম্যান জানান।
যদিও ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, সব আমানতকারীকে সমান ভাবে টাকা ফেরতের উপায় কী? বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, ‘‘কোনও আমানতকারীর একাধিক আমানতপত্র থাকলে তিনি বেশি টাকা ফেরত পাবেন? বাকিদের কী হবে?’’ চেয়ারম্যান জানান, সব তথ্য খতিয়ে দেখে একটি তথ্য ভান্ডার তৈরি করেছে কমিটি। প্রতি ধাপে আধার কার্ডের ভিত্তিতে আমানতকারীদের টাকা দেওয়া হবে। একধাপে একজন একবারই টাকা ফেরত পাবেন। প্রতি আমানতপত্রের জন্য ১০ হাজার ২০০ টাকা দেওয়া হবে। এডিসি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছিল তার অনুসন্ধান রিপোর্ট জমা দেন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি ধীরাজ ত্রিবেদী। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ তথ্য পেতে ফরেন্সিক অডিট প্রয়োজন। সিবিআই এই কাজে দক্ষ নয়। তাই বিশেষজ্ঞ দল গঠনের আর্জি জানান তিনি। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, আগামী শুক্রবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।