বিধানসভা ভোটে কার সঙ্গে জোট হবে, সেই প্রশ্নের ফয়সালা পরে হবে। তার আগে রাজ্য জুড়ে দলের সাংগঠনিক প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপাল। তাঁর ওই নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কংগ্রেসের প্রদেশ নির্বাচন কমিটির প্রথম বৈঠকে রাজ্যের সব বিধানসভা কেন্দ্র পিছু অন্তত তিন জন করে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের পরামর্শ দেওয়া হল। সেই সঙ্গেই ‘ভোট অধিকার সম্মেলন’ করা এবং ব্লক কমিটি দ্রুত গঠনের বার্তা দেওয়া হল জেলা সভাপতিদের।
বিধান ভবনে শুক্রবার প্রদেশ নির্বাচন কমিটির প্রথম বৈঠকে ছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক ও বাংলার পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর এবং দুই সহ-পর্যবেক্ষক অম্বা প্রসাদ ও আসফ আলি খান। সূত্রের খবর, সেখানে ঠিক হয়েছে, বিধানসভা কেন্দ্র পিছু পর্যবেক্ষক নিয়োগের কাজ তাড়াতাড়ি সেরে ফেলা হবে। বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম বাছাইও শুরু করতে হবে। নির্বাচন কমিটির সদস্যেরা যে প্রার্থী-পদের জন্য নাম প্রস্তাব করবেন, তার জন্য তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে বলেও বৈঠকে কথা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায় নাম পাঠাতে হবে, তার হাতে-কলমে মহড়াও হয়েছে বৈঠকে। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন পর্যবেক্ষক মীর। সুমন রায়চৌধুরী, রোহন মিত্রের মতো যাঁরা এই কমিটিতে প্রথম বার এসেছেন, তাঁদের মতও শুনেছেন পর্যবেক্ষক। পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘‘নির্বাচন কমিটির কাছে প্রার্থীদের নাম জমা পড়ার প্রক্রিয়া আমরা আগে থেকে শুরু করতে চাইছি। দফায় দফায় এই প্রক্রিয়া চলবে।’’
কংগ্রেসের ৩৩টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নিয়েও এ দিন বৈঠক ছিল বিধান ভবনে। সেই বৈঠকে ছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক দীপা দাশমুন্সিও। প্রতি জেলায় দু’মাসের মধ্যে ‘ভোট অধিকার সম্মেলন’ করার পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে ব্লক কমিটি গড়ে ফেলতে বলা হয়েছে জেলা সভাপতিদের। তবে সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা (১) কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মুক্তার প্রশ্ন তুলেছেন, প্রদেশের কমিটি গড়তে যেখানে ১১ মাস লেগেছে, সেখানে ব্লকের কাজ এক মাসে করা সম্ভব? মুক্তারের জেলাতেই রবিবার প্রথম ‘ভোট অধিকার সম্মেলন’ হতে চলেছে। পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের নতুন জেলা সভাপতি মনোজ চক্রবর্তী বৈঠকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, বামেদের সঙ্গে জোট করেই সাম্প্রতিক অতীতে কংগ্রেস ভাল ফল করেছে।