• ‘দাগি’দের বেতন উদ্ধার হচ্ছে কি, প্রশ্ন শীর্ষ কোর্টের
    আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ‘দাগি’ বা বেআইনি পথে চাকরি জোগাড় করা রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের থেকে বেতনের টাকা উদ্ধার করা শুরু হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রশ্ন ছুড়েছে। কমিশন তার উত্তরে জানিয়েছে, এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে, রাজ্য প্রশাসন যে দাগিদের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে কোনও স্পষ্টতা নেই কেন? কেন বারবার এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে?

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ২৬ হাজার শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীর চাকরি খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ ছিল, দাগি বা অযোগ্যরা আর নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাঁদের থেকে বেতনের টাকা উদ্ধার করতে হবে। আজ সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েক জন চাকরিহারা শিক্ষক মামলা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা ফাঁকা ওএমআর জমা দেননি। নিয়োগ প্যানেলের বাইরে থেকে চাকরি পাননি। প্যানেলের মেয়াদ শেষের আগেই তাঁদের নিয়োগ হয়েছে। তা-ও তাঁদের ‘দাগি’-র তালিকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় অ্যাডমিট কার্ড দিয়েও তা বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের হয়ে আইনজীবী মুকুল রোহতগি বারবার সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইলেও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, অযোগ্য হয়ে থাকলে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। কলকাতা হাই কোর্টের রায়ই বহাল থাকবে।

    আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, নিয়োগ প্যানেলের মেয়াদ শেষের পরে চাকরি পেয়েছিলেন, এমন অনেককে নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি কারোল বলেন, এ বিষয়ে কী করণীয়, তা নতুন নিয়োগ পরীক্ষার পরে খতিয়ে দেখা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা ৭ সেপ্টেম্বর নির্বিঘ্নে হয়ে গিয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগের পরীক্ষা হবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)