নতুন পদ্ধতিতে অপরাধীদের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ
আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এ বার অপরাধীদের সম্পর্কে খুঁটিনাটি যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিল লালবাজার। শুধু নির্দিষ্ট কোনও অপরাধীর ব্যক্তিগত তথ্যই নয়, তার পরিবার, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট এবং পূর্ব অপরাধের যাবতীয় বিবরণ নথিভুক্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন লালবাজারের কর্তারা। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট লালবাজারের তরফে সমস্ত থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের শাখাগুলিতে পাঠানো হয়েছে। ওই ফরম্যাটেই তথ্য নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগ যাতে দ্রুত কাজ শুরু করে, তা দেখতে বলা হয়েছে উপ-নগরপালদের।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে থানা এবং গোয়েন্দা বিভাগ অপরাধীদের তথ্য নথিভুক্ত করতে রাফ রেজিস্টার ব্যবহার করে। এ ছাড়া, অপরাধীদের জীবনপঞ্জি সংরক্ষণ করা হয় ‘ক্রিমিনাল রেকর্ড সেকশন’ বা সিআরএস-এ। একপুলিশকর্তা জানান, ওই সিআরএসের সঙ্গে এ বার যাতে অপরাধীদের বিস্তারিত তথ্যও সংরক্ষিত থাকে, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কাজের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে তথ্য সংরক্ষিত হলে অপরাধীদের সম্পর্কে দ্রুত জেনে নেওয়া যাবে বলে মনে করছে লালবাজার।
কী বলা হয়েছে নির্দেশে?
লালবাজার যে ফরম্যাট পাঠিয়েছে, তাতে অপরাধীদের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি, পরিবারের সদস্যদের তথ্যও থাকবে। সেই সঙ্গে অপরাধীদের আর্থিক বিষয়ক সমস্ত তথ্যও জোগাড় করে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে তাদের প্যান কার্ড নম্বর, কোনও ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে কিনা, বিদেশে গিয়েছিল কিনা— এ সব তথ্য। আবার তাদের সমাজমাধ্যমে কোনও প্রোফাইল রয়েছে কিনা, তা-ও খোঁজ নিয়ে জানতে বলা হয়েছে। সেই প্রোফাইল সক্রিয় আছে কিনা, তদন্তকারী অফিসারকে সে ব্যাপারেও খোঁজ রাখতে বলেছে লালবাজার। আবার সংশ্লিষ্ট অপরাধী বা অভিযুক্ত কী ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তা যেমন নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছে, এর পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে অতীতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা-ও জানাতে হবে। এমনকি, যারা তার সঙ্গী, তাদের নামের তালিকাও বানাতে বলা হয়েছে।
পুলিশের একাংশের দাবি, অপরাধীদের বিস্তারিত ঠিকুজি এক জায়গায় থাকার ফলে যে কোনও অপরাধী সম্পর্কে দ্রুত তথ্য পেতে সুবিধা হবে। তাতে তদন্তের ক্ষেত্রে তদন্তকারীদেরও সুবিধা হবে বলে মনে করছে পুলিশের ওই অংশ।