• মণিপুরে জাতি সংঘর্ষে বিধ্বস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা মোদীর, ৭,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন
    এই সময় | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন মণিপুরবাসী। গত কয়েক দিনের বিক্ষোভ, চাপা অসন্তোষ মুহূর্তে উধাও। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এক ঝলক দেখতে রাস্তার দুই পাশে ভিড় জমিয়েছিলেন চূড়াচাঁদপুরের বাসিন্দারা। হাত নেড়ে, চিৎকার করে তাঁরা স্বাগত জানালেন প্রধামন্ত্রীকে। মোদীও বারবার গাড়ি থেকে নেমে কথা বললেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।

    ২০২৩ থেকে কুকি ও মেইতেইদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে উত্তাল মণিপুর। এখনও পর্যন্ত ২৫০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম প্রায় ১৫০০। ঘরছাড়া অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। গত দুই বছরে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেননি মোদী। এই নিয়ে বারবার কটাক্ষ শানিয়েছে বিরোধীরা। অবশেষে তাঁর মণিপুর সফরে। এ দিন প্রথমেই জাতি সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান মোদী। তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চান। আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’

    কুকি অধুষ্যিত চূড়াচাঁদপুরে মোদীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিল কিশোর-কিশোরীরা। কেউ মোদীর হাতে ফুল তুলে দিল, কেউ হাতে আঁকা ছবি। এক কিশোর মোদীকে পরিয়ে দেয় মণিপুরের ঐতিহ্যবাহী টুপি। হাসিমুখে টুপি পড়েন মোদীও।

    এর পরে মোদী যান চূড়াচাঁদপুরের পিস গ্রাউন্ডে। সেখান থেকে ৭,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এর মধ্যে মণিপুর আরবান রোডস, ড্রেনেজ অ্যান্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট অন্যতম। এই দুটি প্রকল্প রূপায়নে ৩,৬০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। পাঁচটি জাতীয় সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেন তিনি। রাজ্যের ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করতে মণিপুর ইনফোটেক ডেভেলপমেন্ট (MIND) প্রজেক্ট শুরু হবে। কর্মরত মহিলাদের থাকার জন্য তৈরি হবে ৯টি হস্টেলও।

    তবে মোদীর এই সফর কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। চাঁচাছোলা ভাষায় ওয়ানাড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হিংসা চলছে মণিপুরে। আর তিনিই সেটা চলতে দিয়েছেন। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়। ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীরই এমন রেকর্ড নেই।’ একই সুরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও বলেন, ‘বুড়ি ছোঁয়ার মতো মণিপুর ঘুরে চলে আসবেন। কাজের কাজ কিছু হবে না।’

  • Link to this news (এই সময়)