আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল ২০১৯ ব্যাচের ওড়িশা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (ওএএস) টপার অশ্বিনী কুমার পাণ্ডা-সহ তিন সরকারি আমলাকে। কৃষিজমিতে ভিটে জমিতে রূপান্তর করার জন্য আবেদন করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই আবেদন অনুমোদনের জন্য সম্বলপুর জেলার বামরার তহসিলদার হিসেবে নিযুক্ত (ওএএস) অশ্বিনী কুমার ঘুষ চেয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে ভিজিল্যান্স দপ্তরের তরফে ফাঁদ পাতা হয়। অভিযোগকারীর ড্রাইভারের হাত দিয়ে ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় হাতে-নাতে ধরা পড়েন তিনি।
ওড়িশা ভিজিল্যান্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "একটি মিউটেশন মামলায় কৃষি জমিকে বসতবাড়িতে রূপান্তর করার জন্য অভিযোগকারীর কাছ থেকে ১৫,০০০ টাকা দাবি করেছিলেন। এই অযৌক্তিক সুবিধা নেওয়ার জন্য পান্ডাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"
সম্বলপুরের এসপি (ভিজিল্যান্স) পি কে দ্বিবেদী জানিয়েছেন, অভিযোগকারী প্রায় এক মাস ধরে, কৃষি জমি রূপান্তরের জন্য সরকারি আমলা অশ্বিনী পাণ্ডাকে অনুরোধ করছিলেন। কিন্তু, তিনি কাজের জন্য ২০,০০০ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। কিন্তু এত বড় অঙ্কের টাকা দিতে তিনি অপারগ বলে জানান অভিযোগকারী। তখন সে ঘুষের অঙ্ক কমিয়ে ১৫০০ টাকা করে দেন। অনেক অনুনয়-বিনয়তেও কাজ হয়নি।
শেষমেষ কোনও উপায় না দেখতে পেয়ে অভিযোগকারী ভিজিল্যান্স কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান সম্বলপুর জেলার বামরার তহসিলদার হিসেবে নিযুক্ত (ওএএস) অশ্বিনী কুমারের বিরুদ্ধে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা ফাঁদ পাতেন। সরকারি আমলা অশ্বিনী পাণ্ডার গাড়ির চালকের হাত দিয়ে ঘুষের টাকা পাঠানো হয়। সেই সময়ই ওই সরকারি আমলাকে ভিজিল্যান্স অফিসার পি. প্রবীণ গ্রেপ্তার করেন। অশ্বিনী কুমার এবং চালক উভয়কেই আটক করা হয়।
পরবর্তীকালে অস্বনী পাণ্ডার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ৪.৭৩ লক্ষ টাকা নগদ এবং স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
ভিজিল্যান্স কর্মকর্তাদের মতে, ১৩ জুলাই, ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণকারী অশ্বিনী পাণ্ডা ২০১৯ সালে ওড়িশা পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরিচালিত ওডিশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় শীর্ষস্থান অর্জন করেন এবং ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে বালেশ্বর কালেক্টরের অফিসে ট্রেনিং রিজার্ভ অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি শুরু করেন।
এরপর অশ্বিনী কুমার ময়ূরভঞ্জ জেলার শামাখুন্টা তহসিলদার হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে ২০২৫ সালের ১ জুলাই বামরা তহসিলদার হিসেবে বদলি হন।
আরেকটি মামলায়, নয়াগড়ের জেলা শ্রম কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন রাউতকে ২০টি শ্রম কার্ড দেওয়ার বিনিময়ে একজন শ্রমিকের কাছ থেকে ৬,০০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। তাঁকেও দুর্নীতির অভিয়োগে ভিজিল্যান্স আধিকারিকরা তাকে গ্রেপ্তার করেন।
আরেকটি মামলায়, পঞ্চায়েত কর্মকর্তা পুষ্পিতা মহাকুদকে বয়স্ক নাগরিকদের বার্ধক্য পেনশন প্রকল্পের সুবিধা বিতরণের জন্য ৫.৬৮ লক্ষ টাকারও বেশি সরকারি তহবিল আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।