জামিন আবেদনের নিষ্পত্তির করতে হবে দু'মাসের মধ্যে, দেশের সব হাইকোর্টকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত...
আজকাল | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: জামিন ও অন্তবর্তী জামিনের আবেদন দু'মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। দেশের সব হাইকোর্টগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্তের জামিনে দেরি মানে অবিচার, আর তাতেই খর্ব হয় সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার। তাই সুপ্রিম কোর্ট মনে করে, বিচার প্রক্রিয়ায় চাপের দোহাই দিয়ে কোনও ব্যক্তির মোলিক অধিকার খর্ব করা যায় না।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে- এই ধরনের মামলার দীর্ঘায়িত বিচার কেবল ফৌজদারি কার্যবিধির উদ্দেশ্যকেই ক্ষুণ্ন করে না, বরং সংবিধানের ১৪ এবং ২১ ধারার অধীনে সমতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তাকেও লঙ্ঘন করে।
এই নির্দেশের নেপথ্যে রয়েছে বম্বে হাইকোর্টের এক ঘটনা। সেখানে ২০১৯ সালে করা একটি জামিনের আবেদন বারবার পিছোতে পিছোতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ঝুলে ছিল। ছ' বছর পরে সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। দীর্ঘসূত্রিতায় ক্ষুব্ধ আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলে শীর্ষ আদালত বম্বে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলেও, এত দীর্ঘ দেরির জন্য তীব্র ভর্ৎসনা করে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় দেশের বিচারব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে। বহু অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে জামিনের অপেক্ষায় থাকেন। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ কার্যকর হলে তাঁদের অধিকার রক্ষিত হবে এবং বিচারপ্রক্রিয়ায় গতি আসবে।
ডিভিশন বেঞ্চ এও স্পষ্ট করেছে, "দীর্ঘসূত্রিতা শুধু বিচার বিলম্বিত করে না, অনেক সময় তা বিচার অস্বীকার করার সমান হয়ে দাঁড়ায়।"