উপকূলবর্তী অঞ্চল বা নদীপথে চলাচলকারী তৈলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অনেক সময় তেল মিশে যায় জলে, যার ফলে দূষিত হয় জলজ পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র। এই ধরনের দূষণ প্রতিরোধে এবার বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ‘অয়েল স্পিল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট’ গঠনের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, উপকূল সুরক্ষা বাহিনী এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের শীর্ষ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সমুদ্র বা নদীপথে যদি কোনও তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়ে এবং তেল জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে এই পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার মোকাবিলায় ‘অয়েল স্পিল’ রুখতে বিশেষ প্রস্তুতি নেবে প্রশাসন।
অবৈধ বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধেও কড়া পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের তরফে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। নবান্ন সূত্রে খবর, অবৈধ খাদান রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। সেই নির্দেশিকা মেনে চলার উপর জোর দেন মুখ্যসচিব।
প্রয়োজনে কড়া আইনি ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। জেলার পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বালি ও ব্ল্যাক স্টোন পাচার রুখতে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার – এই যুক্তিতেই ফের একবার জেলাগুলিতে অভিযান জোরদার করার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দ্বিতীয় দফার স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। প্রথম দফার পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় যাতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা না ঘটে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে এবং পরীক্ষার্থীদের যেন কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।