• রেশন বিক্রি না করে দুঃস্থদের সুযোগ দিন : খাদ্যমন্ত্রী
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • খাদ্য দপ্তরের কাজে স্বচ্ছতা আনতে একাধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে রেশন বন্টন সংক্রান্ত কেন্দ্রের নির্দেশিকা পালনেও এগিয়ে বাংলা। এবার সেই খতিয়ান তুলে ধরলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর মতে, রেশন সামগ্রী দরিদ্র মানুষের জীবনধারণের রসদ। তাই যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁরা যেন রেশন সামগ্রী বিক্রি করে না দেন। পরিবর্তে হতদরিদ্র মানুষকে সুযোগ করে দেওয়ার আর্জি মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের হাজার বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাদ্যসাথী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যেক উপভোক্তা যেন এর সুবিধা পান, দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তা সুনিশ্চিত করছেন আমাদের দপ্তরের কর্মীরা। তাই যাঁদের রেশনের প্রয়োজনীয়তা নেই, তাঁরা বাইরের বাজারে তা বহুমূল্যে বিক্রি করে দেবেন না। দুঃস্থ মানুষদের সুযোগ করে দিন।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, রেশনে রেকর্ড গড়েছে বাংলা। রেশন কার্ডে ৯৮ শতাংশ বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে এ রাজ্যে, যা অন্যান্য বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির থেকে অনেক এগিয়ে।

    প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবার কলকাতা কর্পোরেশনের ১৭, ২১ ও ৪২ নং ওয়ার্ডে আয়োজিত ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন রথীন। শিবিরে আগত আমজনতার সমস্যার কথা শোনেন তিনি, দেন সমাধানের আশ্বাসও। সেখানেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা রাখতে গিয়ে তাঁর গলায় উঠে আসে খাদ্য দপ্তরের স্বচ্ছতার প্রসঙ্গ। তাঁর ভাষায়, ‘রেশন থেকে মানুষের বঞ্চিত হওয়ার হার বর্তমানে অনেক কমেছে। আমরা অনেক প্যারামিটার রেখেছি। ই-কেওয়াইসি থেকে আঙুলের ছাপ, চোখের ছবি মিলিয়ে দেখা, আবার কারও আধার কার্ড না থাকলেও রেশন দেওয়ার মত অগণিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্যসাথীতে বঞ্চনা চলবে না। কোনও গ্রাহক যেন বঞ্চিত না হন এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ পাশাপাশি এদিন ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিজের এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করুন। শিবিরে এসে সমস্যা নথিভুক্ত করুন, আমরা এর সমাধান করব। গণতন্ত্রে মানুষই শক্তি, মানুষের রায়ই শেষ কথা। তাই নিজের এলাকার খামতি শনাক্ত করুন এবং আমাদের জানান।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)