• অবশেষে রক্তস্নাত মণিপুরে মোদি, উন্নয়নে থামবে হিংসা?
    প্রতিদিন | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় আড়াই বছর ধরে গোষ্ঠীদ্বন্দে জ্বলছে মণিপুর। আপাত দৃষ্টিতে খানিকটা ছন্দ ফিরলেও ছাই চাপা আগুন জ্বলে উঠছে মাঝে মাঝেই। এই প্রেক্ষাপটে শত গঞ্জনার মাঝে শনিবার মণিপুর পৌছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হাতে উন্নয়নের ডালা। আর এখানেই প্রশ্ন, উন্নয়ন দাওয়াইয়ে কী সারবে সংঘাতের ক্ষত?

    শনিবার সকালে মিজোরামে রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মিজোরামকে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সরাসরি রেলপথে যুক্ত করে বিরোধীদের বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। এবার সেই একই উন্নয়নের পসরা নিয়ে মণিপুরে হাজির তিনি।

    জানা গিয়েছে, মণিপুরের উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। এর বেশিরভাগের জন্যই বেছে নেওয়া হয়েছে মণিপুরের চুরাচাঁদপুর জেলাকে। কিন্তু কেন? দুই বছরের হিংসায় একবারও রাজ্যে আসেননি মোদি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুকি অধ্যুষিত এই জেলাই। ঠিক সেই কারণেই এখানেই প্রথমে আসছেন তিনি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখানে যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন হবে তার মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাস্তা এবং ড্রেনেজ সহ অন্যান্য প্রকল্প। ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচের পাঁচটি জাতীয় সড়ক প্রকল্প। মণিপুর ইনফোটেক প্রকল্প এবং কর্মরতা মহিলাদের জন্য ন’টি হস্টেল।

    চুরাচাঁদপুর থেকে ইম্ফলে আসার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রিপুখরি এলাকায় সিভিল সেক্রেটারিয়াট, আইটি এসইজেড ভবন এবং নতুন পুলিশ হেডকোয়ার্টার। এছাড়াও কলকাতা এবং দিল্লিতে মণিপুর ভবনের শিলান্যাস হবে। পাশাপাশি, চার জেলায় সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত বাজারের উদ্বোধন হবে বলেও জানা গিয়েছে।

    দু’বছর ধরে জ্বলছে মণিপুর। গোটা রাজ্যজুড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু সাধারণ মানুষের। পাশাপাশি ঘরছাড়া আরও অনেকে। সংঘর্ষ শুরু পর থেকেই এই রাজ্যে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার বার আবেদন করেছে সাধারণ মানুষ। কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। কিন্তু লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মণিপুরে সফর করলেও উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য সম্পর্কে একটি শব্দও খরচ করেননি মোদি।

    অন্যদিকে, কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকার কুকি-জো গোষ্ঠীর সঙ্গে একটি নতুন ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিতেই ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবাধ চলাচলের জন্য খুলে দিতে সম্মত হয় কুকি গোষ্ঠী। নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মকর্তাদের এবং কুকি-জো কাউন্সিলের (কেজেডসি) একটি প্রতিনিধি দলের মধ্যে একাধিক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় সড়ক-২-এ শান্তি বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেজেডসি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)