• ‘এসসি-এসটিদের জন্য কাজ করেনি কেন্দ্র’, মোদি সরকারের সমালোচনায় বিজেপি সাংসদ
    প্রতিদিন | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: দেশের তফসিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য কোনও কাজ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদরাই।

    সূত্রের খবর, সদ্য সংসদের সামাজিক ন্যায় ও সশক্তিকরণ মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একাধিক বিজেপি সাংসদ মন্তব্য করেছেন, সরকার দেশের তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করেনি। করলে তা চোখে দেখা যেত। অথচ সেরকম কিছুই চোখে পড়ছে না। শাসক দলের সাংসদদের মুখে একথা শুনে বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী সাংসদরাও তাতে গলা মেলান। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য কেন্দ্র বহু কাজ করেছে বলে দাবি করতেই একাধিক বিজেপি সাংসদ কোথায় কোথায়, কী কাজ হয়েছে সেই পরিসংখ্যান জানতে চান। তাতে মন্ত্রকের আধিকারিকরা সদুত্তর দিতে পারেননি।

    বিজেপি সাংসদরা বলেন, “রাজ্যভিত্তিক কী কী কাজ হয়েছে, কোথায় সেগুলি হয়েছে, তথ্যপ্রমাণ এবং নথি দিন। কারণ, কাজ হলে তা চোখে দেখা যেত। আমরা তো কোনও কাজ দেখতে পাচ্ছি না।” সূত্রের খবর, সুযোগ পেয়েই বাংলার বঞ্চনা নিয়ে কমিটির সদস্য, তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ মিতালি বাগও সরব হন। তাঁর প্রশ্ন, বাংলাকে কোনও টাকাই দেওয়া হয় না। সেখানে কাজ কীভাবে হবে। কাগজে-কলমে যা দেখানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই বলে অভিযোগ করেন মিতালি।

    বৈঠকে শাসক দলের সাংসদদের মুখে এই অভিযোগ শুনে বিরোধী সাংসদদের মুখে হাসি ছিল চোখে পড়ার মতোই। শাসক দলের সাংসদদের অভিযোগ শুনে অস্বস্তিতে পড়েন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকরা। পরিস্থিতি সামলাতে পরে সাংসদদের কাছে পেন ড্রাইভে বিশদ তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তাতে চটে গিয়ে শাসক দলের কয়েকজন সাংসদ মন্তব্য করেন, ‘পরে তথ্য পাঠানো হবে মানে সরকারের হাতে কোনও তথ্য নেই’। মন্ত্রকের আধিকারিকরা কেন সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে বৈঠকে আসনেনি, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদরা। পরে জানতে চাওয়া হলে মিতালি বলেন, “বৈঠকে কী হয়েছে সেটা প্রকাশ্য বলতে পারব না। তবে পশ্চিমবঙ্গকে যে বিজেপি দেখতে পারে না, সে কথা তো আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলায় তফসিলি জাতি, উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য যা কাজ হয়েছে, সবই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। কেন্দ্রের সেখানে কোনও অবদানই নেই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)