অর্ণব দাস, বারাসত: বন্ধুর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। তবে তার যে এমন করুণ পরিণতি হবে, তা আশা করেননি কেউ। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে (Dakshineswar Metro Station) বন্ধুকে খুনের পর বাড়ি ফেরে নাবালক। ছেলেকে মুখচোখ দেখে বাবা-মা আঁচ করতে পারেন কিছু একটা হয়েছে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসা করায় নাকি ভেঙে পড়ে। বাবা-মায়ের কাছে স্বীকার করে খুনের কথা। এরপর সপরিবারে এলাকা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তবে পথেই গ্রেপ্তার হয় নাবালক। পুলিশের জালে তার বাবা, মা এবং বোনও।
সূত্রের খবর, আলমবাজারের বাসিন্দা ওই নাবালক বাড়ি থেকে বাবা, মা এবং বোনের সঙ্গে বেরয়। বিহারের বেগুসরাইতে পালানোর ছক কষেছিলেন তাঁরা। সড়কপথে সোজা চলে যায় হাওড়া স্টেশনে। সেখান থেকে রেলপথেই সম্ভবত বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক ছিল। তবে তার আগে ভেস্তে যায় সব কিছু। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ হাওড়া স্টেশনে হানা দেয়। পাকড়াও করে নাবালককে। তার বাবা, মা এবং বোনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত নাবালক আলমবাজারের বাসিন্দা। বাগবাজার বয়েজ স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিল সে। বাবা-মা এবং বোনের সঙ্গে বাস তার। প্রতিবেশীদের দাবি, ভালো ছেলে ওই নাবালক। পড়াশোনা নিয়েই দিনরাত ব্যস্ত থাকত সে। কারও সঙ্গে তেমন মেলামেশা করত না। নিহত নাবালক মনোজিতের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব বহুদিনের। তবে সম্প্রতি দু’জনের পরিচিত কিশোরীকে মনোজিতের কটূক্তি করা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। গত ১০ সেপ্টেম্বর দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সে সময় ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছিল বলেই ভেবেছিলেন সকলে। ওই বিবাদ যে এমন ভয়ংকর রূপ নেবে, তা ভাবেননি কেউ। প্রতিবেশীদের কথায়, “ছেলেটার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেল। পরিবারটা ভেঙে গেল।” এই ঘটনার পর থেকে ফাঁকা অভিযুক্ত নাবালকের বাড়ি। যাতে তার বাড়িতে হামলার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।