‘দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের বাঁধন বাংলা-নেপালের’, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলাকে শুভেচ্ছা মমতার
প্রতিদিন | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নব্যেন্দু হাজরা: বাংলার উত্তরবঙ্গের থেকে নেপালের দূরত্ব বেশি নয়। তাই নেপালের অশান্তিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব নেওয়ার পরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কারকিকে শুভেচ্ছা জানালেন তিনি।
মমতা X হ্য়ান্ডেলে লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কারকিকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা-নেপালের সীমান্তের কাছাকাছি। মানুষের পারস্পরিক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের বাঁধন এবং সহযোগিতার সম্পর্ক আরও উন্নত হোক।”
প্রসঙ্গত, বুধবার ৫ হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভারচুয়াল বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কারকির নাম প্রস্তাব করে। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম কারকির কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেল তিনি সমর্থনের জন্য কমপক্ষে ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। যদিও তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়। এরপর নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল ও প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলেরও অনুমোদন পেয়ে যান কারকি। ‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির দায়িত্বভার উঠেছে কারকির কাঁধে। শুক্রবার রাতে নেপালের রাষ্ট্রপতি ও অন্যান্য প্রধানদের উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি। কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাস থেকে বিবৃতি জারি করে সে কথা জানানো হয়। ফলে ‘জেন জি’ বিক্ষোভের জেরে ওলি সরকারের পতনের চারদিন পর দেশটির দায়িত্বভার উঠেছে কারকির কাঁধে। নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। যিনি আবার বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।