• নাচতে নাচতেই সব শেষ! গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়ল বেপরোয়া ট্রাক, পিষে দিল পরপর তরুণকে, মৃত্যুমিছিল এই রাজ্যে ...
    আজকাল | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়ল ট্রাক। পিষে দিল পরপর পুণ্যার্থীকে। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যুমিছিল কর্ণাটকে। এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অনেকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।‌ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হাসান জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে মোসালে হোসাহাল্লি গ্রামে গণেশ বিসর্জনের শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাকটি আরাকালাগুডুর দিক থেকে আসছিল। আচমকাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শোভাযাত্রার মধ্যে ঢুকে পড়ে। 

    ওই শোভাযাত্রায় অধিকাংশই তরুণ, তরুণীরা ছিলেন। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর একাধিক তরুণকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। মৃতদের মধ্যে সকলেই তরুণ। তড়িঘড়ি করে সকলকেই হাসান জেলার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ২০ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনেকেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে। 

    দুর্ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত চালাচ্ছে তারা। একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আটজনের মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতিকরাও। 

    প্রসঙ্গত, গণেশ চতুর্থীতেই মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মহারাষ্ট্রের পালগড় জেলায় ১৩ বছরের পুরনো একটি বেআইনিভাবে নির্মীত পাঁচতলা আবাসন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় এক বছরের এক শিশুকন্যা ও তার মা-ও রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার গভীর রাতে। 

    পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, ওই রাতেই একটি পরিবারে জন্মদিনের পার্টি চলছিল। জোয়াল পরিবারের সদস্যরা কেক কেটে উদযাপন করছিলেন। বাবা ও মায়ের কোলে উঠে কেক কাটছিল এক বছরের ওই শিশুকন্যা। কেক কাটার পরেই আত্মীয়দের সঙ্গে সেই মুহূর্তটি ভাগ করে নেন বাকিরা। ঠিক তখনই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ওই আবাসন। যা ১৩ বছর আগে বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ আগস্ট রাত ১২টা বেজে ৫ মিনিটে পাঁচতলা ভবনটি ভেঙে পড়ে। যেখানে ৫০টি ফ্ল্যাট ছিল। ১২টি ফ্ল্যাট ধসে পড়েছে গতকাল রাতে। একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, ফ্ল্যাটেথ মধ্যে বেলুন, আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল। লোভনীয়, সুস্বাদু খাবারে সাজানো ছিল টেবিল। পছন্দের পোশাকে সেজে উঠেছিলেন সকলে। কেক কাটার পর একে অপরকে খাইয়েও দেন। ঠিক এর পাঁচ মিনিট পরেই ধসে পড়ে আবাসনের একাংশ। 

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক বছরের শিশুকন্যা ও তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।‌ দুর্ঘটনা পর তার বাবার খোঁজ পাওয়া যায়নি। সম্ভবত এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছে। গভীর রাত থেকেই চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত অনেকেই আটকে আছেন বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারীদের। 

    একযোগে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। একটানা ৩০ ঘণ্টা ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন। এখনও ছয়জন হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের সকলের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

    ঘটনাটির পরেই মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই বিল্ডিংয়ের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চারতলা রমাবাই অ্যাপার্টমেন্টটি ধসে পড়ে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ভাসাই-ভিরার পুর কর্পোরেশনের (ভিভিএমসি) একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, আহত এবং উদ্ধার হওয়া আরও ছয়জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল বিভাগ-সহ জরুরি দলগুলি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে আরও কেউ সেখানে আটকে পড়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। ধসের ফলে বেশ কয়েকটি পরিবার ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে। সকল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে চন্দনসার সমাজমন্দিরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার, জল, চিকিৎসা সহায়তা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (আজকাল)