মিটতে চলেছে কোন্নগরবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি, তৈরি হচ্ছে পরিবেশ-বান্ধব বৈদ্যুতিক চুল্লি...
আজকাল | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোন্নগর পুরসভা এলাকায় গঙ্গার পাড়ে রয়েছে বহু প্রাচীন শ্মশান ঘাট। সেই শ্মশানে এতদিন কাঠ পুড়িয়ে মৃতদেহ সৎকার করা হত। ফলে এলাকায় দূষণ ছড়াত। সময়ের দাবি মেনে কোন্নগরের কাছাকাছি অন্য়ান্য পুরসভা পরিচালিত শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হয়েছে। চাপ থাকলেও কোন্নগর পুরসভায় এতদিন ধরে তা হয়ে ওঠেনি। শুধু কোন্নগর পুরসভা অঞ্চলই নয়, কানাইপুর নবগ্রাম ডানকুনি-সহ আশেপাশের এলাকা থেকে শবদেহ সৎকার করতে কোন্নগরে আসেন মানুষ।
কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেছেন, "রাজ্য সরকারের প্রায় দু'কোটি টাকা ব্যয়ে এই আধুনিক চুল্লি তৈরির কাজ চলছে। নবনির্মিত চুল্লিগুলি হবে পরিবেশবান্ধব। অর্থাৎ অন্যান্য বৈদ্যুতিক চুল্লি গুলিতে যেমন ধোঁয়া চোঙা দিয়ে সরাসরি বাতাসে মেশে, দূষণ ছড়ায়- এই চুল্লির ক্ষেত্রে তা হবে না। এখানে মরদেহ সৎকারের সময় যে ধোঁয়া বেরোবে তা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এর মধ্যে দিয়ে গিয়ে সুদীর্ঘ চোঙার মাধ্যমে উপরে উঠে যাবে। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, এই ধরনের একটি আধুনিক শ্মশান ঘাটের। যা আমরা পূরণ করতে পারছি। আগামী বছর জানুয়ারি মাসেই আশা করি এই বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হয়ে যাবে।"
উত্তরপাড়া প্রাক্তন বিধায়ক তথা কোন্নগরের বাসিন্দা প্রবীর ঘোষাল বলেন, "এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। এর জন্য চেয়ারম্যান স্বপন দাস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্য়ানার্জিকে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের যজ্ঞের মধ্যে রয়েছেন। গত বছর কোন্নগর বইমেলায় এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলে গিয়েছিলেন এই কাজের কথা। তারপর তিনি সেই কাজের অনুমোদন দেন। ধোঁয়া থেকে পরিবেশ দূষনের যে বিষয় থাকে সেটা থাকবে না আধুনিক এই চুল্লিতে। ফলে এলাকার বাসিন্দাদের সুবিদা হবে।"
কোন্নগরের বাসিন্দা জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, "যাঁরা কাঠে দাহ করতে চান না, তাঁদের উত্তরপাড়া না হলে রিষড়া যেতে হত। সেখানে চুল্লি বন্ধ থাকলে সমস্যায় পরতে হত। কোন্নগরে চুল্লি হলে বহু মানুষের সুবিধা হবে, হয়রানি কমবে।"