• উত্তরপাড়ার বেসরকারি হোমে মেধাবী তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ, কর্ণধার সহ একাধিক কর্মী গ্রেপ্তার ...
    আজকাল | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তরপাড়া থানার নবগ্রামে একটি বেসরকারি হোমে তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর মহিলা থানায় অভিযোগ করেন ২৬ বছরের ওই যুবতী।পুলিশ গতকাল চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল, উত্তরপাড়া থানার নবগ্রামের বেসরকারি হোমের কর্নধার, সেক্রেটারি ও দুই জন কর্মী। ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে। 

    নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার বলেন, 'আবাসিক ওই তরুণী খুবই মেধাবী। সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই হোমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে একবার আমাদের পার্টি অফিসে এসেছিলেন। আমরা বলেছিলাম পুলিশে অভিযোগ জানাতে। অজয় এখন আর তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নেই।' 

    পাশাপাশি বিজেপির নবগ্রাম মণ্ডল সভাপতি রাজেশ রজক বলেন, 'ওনাকে আমরা চিনি ওর অনেকগুলো রূপ আছে। তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। যদি অভিযোগ সত্যি হয় তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নিক। তৃণমূল করেন তাই পঞ্চায়েতের সঙ্গে ওঠাবসা তো থাকবেই।' 

    যদিও হোমের কর্মীদের একাংশ জানান, হোমের কর্ণধার ভাল লোক। তাঁরা দীর্ঘদিন দেখছেন। কখনও খারাপ কিছু চোখে পরেনি তাঁদের। 

    গতকালই উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধারকে শিলনোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করে পালিয়ে যায় দুই আবাসিক। কয়েকমাস আগে অন্য একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে এক আবাসিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। উত্তরপাড়ার বেসরকারি হোম এবং নেশা মুক্তি কেন্দ্রেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে বারবার। 

    প্রসঙ্গত, গতকাল এগারো নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় 'টাইম টু চেঞ্জ' নামে একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেই ঘটে গিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা, সূত্রের খবর তেমনটাই। জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রের কর্ণধার ছিলেন মদন রানা। 

    মদন দশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলরের প্রাক্তন স্বামী। শুক্রবার ভোরে ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের দুই আবাসিক মদনকে শিলনোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করেন বলে অভিযোগ। অন্য এক আবাসিককেও মারধোর করেন বলে জানা গিয়েছে প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত। তথ্য, পরপর দুটি অপরাধমূলক কাজের পর, পালিয়ে যান তাঁরা। ঘটনার খবর পেয়ে মদনের মা, দিদি নেশা মুক্তি কেন্দ্রে যান। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় যুবককে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। 

    মদন রানার বিরুদ্ধেও এর আগে প্রতারনার অভিযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন তিনি। একসময় তিনি নিজেও নেশাসক্ত ছিলেন। বছর পাঁচেক আগে উত্তরপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেশা মুক্তি কেন্দ্র খোলেন।

    মদনের দিদি নন্দিতা ভারমা বলেন, 'পৌনে সাতটা নাগাদ খবর পাই ভাইকে মারধর করা হয়েছে। তারপর সেন্টারে এসে আমরা দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখনও আমার ভাইয়ের শ্বাস চলছিল। শুধু মাথায় আঘাত করেছে, শরীরে আর কোথাও আঘাত নেই। চিকিৎসক দেখেই জানান, আরও আগে পৌঁছতে পারলে সম্ভাবনা ছিল। ২০-২২ জন আবাসিক ছিল সেখানে। এই ঘটনার পর তাঁরা বেশিরভাগজনই ট্রেনে করে পালিয়ে যান।'
  • Link to this news (আজকাল)