সিমলা, ১৯ সেপ্টেম্বর: মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং তার জেরে ধস। প্রকৃতির রোষে ফের বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া না গেলেও ধসের ফলে মাটি, পাথরের নীচে চাপা পড়েছে অন্তত ১০টি গাড়ি। ধুয়ে-মুছে গিয়েছে রাস্তাঘাট। বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে স্বস্তির খবর হল স্বাভাবিকের থেকে কয়েকদিন আগে বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
রাজ্যের বিলাসপুর জেলার গুত্রাহান গ্রামে ধসের ফলে অন্তত ১০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, জলের স্রোতে বয়ে আসা কাদা ও পাথর ক্ষতি করেছে চাষের জমি। মান্ডি জেলায় ধসের জেরে রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি বাড়ি। আগামীকালও এই পাহাড়ি রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। অন্যদিকে, শনিবার সকালে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছিল সিমলা। দৃশ্যমানতা তলানিতে নেমে আসে। যার জেরে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
চলতি বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যায় হিমাচলপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৬ দাঁড়িয়েছে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা। এবছর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে স্বাভাবিকের থেকে ৪৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সাধারণত প্রতি বছর ১ জুন থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬৭৮.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু চলতি বছরের ওই একই সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৬৭.২ মিলিমিটার।