সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় আড়াই বছর পর হিংসা কবলিত মণিপুরে গিয়ে শান্তির বাণী শুনিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করলেন। স্থানীয় জনজাতি সংগঠনগুলিকে শান্তিরক্ষার বার্তা দিলেন। আবার কয়েক ঘণ্টা পরে পাহাড়ি রাজ্য থেকে ফিরেও এলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি, মোদি এতদিন বাদে মণিপুরে গিয়ে যে কয়েক ঘণ্টা কাটিয়ে এলেন, সেটা ওই রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের উপর প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যাওয়ার আগেই বলে দিয়েছেন, “নরেন্দ্র মোদিজি এভাবে ৩ ঘণ্টার জন্য মণিপুর গেলে সেখানকার বাসিন্দাদের সমবেদনা জানানো যায় না। এটা প্রহসন, দেখনদারি আর ক্ষতিগ্রস্তদের অপমান করা ছাড়া আর কিছুই নয়।” চুড়াচাঁদপুরে প্রধানমন্ত্রী যে রোড শো করেছেন, সেই রোড শো’কেও তিনি চূড়ান্ত সংবেদনশীলতার অভাব বলে দেগে দিয়েছেন।” খাড়গের দাবি, মণিপুরে এখনও হিংসার ঘটনা ঘটছে। অথচ সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যর্থ হয়েছেন। মোদি সরকার বুলডোজার চালিয়েছে মণিপুরবাসীর উপর।
মোদিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস মহাসচিব প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তাঁর বক্তব্য, “আড়াই বছর পর মোদি মণিপুরে পা রেখেছেন এটা সত্যিই ভালো খবর। কিন্তু বড্ড দেরি করে ফেললেন। অনেক আগেই যাওয়া উচিত ছিল।” প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, “মোদি মণিপুরকে জ্বলতে দিয়েছেন। সেখানকার মানুষের দুর্দশায় পাশে দাঁড়াননি। এটা ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের সংস্কৃতি নয়।”
শুধু মৌখিক নিশানা নয়, মণিপুরের কংগ্রেস কর্মীরা শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রতিবাদে পথেও নেমেছিলেন। এদিন ইম্ফলের কাংলা দুর্গের মাঠে, মোদির সভাস্থলের কাছেই বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই বিক্ষোভ দমন করে বিক্ষোভকারীদের কংগ্রেসের দলীয় দপ্তরে ঢুকিয়ে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা।