গোবিন্দ রায়: আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন রীতা দাস। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা খারিজ করা হল। শুধু তাই নয়, রীতা দাসকে ক্লিনচিট দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্থ জানান, ডাইরেক্টর অব লোকাল বডির (ডিএলভি) দেওয়া রিপোর্টে কোনও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উপরন্তু পুরবোর্ড অব কাউন্সিলর অর্থাৎ সব কাউন্সিলরদের ওপর তদন্ত চালাচ্ছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। তাই এই মামলা খারিজ করে দিচ্ছে আদালত।
আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে অপসারিত চেয়ারপার্সন রীতা দাস বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি, অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা। বাজেট নিয়ে যে কোনও অনিয়ম হয়নি, সেটা আদালতের অবস্থানে স্পষ্ট হল। সত্যের সর্বদাই জয় হয়। বাজেট পাশ নিয়ম অনেকেই অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। কিছু মানুষ নাগরিক পরিষেবা ব্যহত করে এবছর পুরসভার বাজেট পাশে বাধা দিয়ে গেলেন।” আদালতের প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের হয়ে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী অনিরুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় ও আইনজীবী অর্জুন সামন্ত। অর্জুন বলেন, “নিয়ম মেনেই ৭ মার্চ বাজেট পেশ করা হয়েছিল। এখানে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা ভিত্তিহীন। ডিএলভি-র রিপোর্টেও তা প্রমাণিত।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মে মাসে কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন রীতা দাসের বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগ ছিল, চেয়ারপার্সন আর্থিক বাজেট না করেই ফান্ড ব্যবহার করছেন। এরই মধ্যে চেয়ারপার্সনকে অবৈধভাবে অপসারণও করা হয় বলেও অভিযোগ। কিন্তু তিন মাসের মামলার শুনানিতে সেই অভিযোগ ধোপে টিকল না হাই কোর্টে।