• ওয়ার্ক আউটের ব্যতিক্রমী, মিরর সেলফি অভিষেকের
    এই সময় | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জিম–ভেস্ট ও শর্টস পরা ঘর্মাক্ত শরীর। চুল কিছুটা এলোমেলো। দুই হাতে রিস্ট সাপোর্টেড ওয়ার্ক–আউট গ্লাভস। এই পোশাকেই স্মার্টফোনে মিরর সেফলি তুলেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে শনিবার দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ‘স্টোরি’ পোস্ট করতেই তৃণমূলের তামাম নেতৃত্ব চমকে গিয়েছেন। অভিষেকের এই ল‍ুক তৃণমূলের নেতা–কর্মী তো দূরের কথা, রাজ্যের মানুষও অতীতে দেখেননি।

    অভিষেককে সোশ্যাল মিডিয়াতে সেলফি পোস্ট করতে সচরাচর দেখা যায় না, সেখানে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ একেবারে মিরর সেলফি পোস্ট করায় দ্রুত এই ছবি অজস্র শেয়ার হতে শুরু করে। শুক্রবার কলকাতায় ক্যামাক স্ট্রিটে সকাল থেকে পশ্চিম বর্ধমান এবং কৃষ্ণনগর সাংগঠিক জেলার নেতৃত্বকে বৈঠক করেছেন অভিষেক। পুজোর আগে সাংগঠনিক পর্যালোচনা সেরে ফেলতে অভিষেক টানা এমন বৈঠক করে চলেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, ‘অভিষেক সংগঠনকে আরও সংঘবদ্ধ করতে পরিশ্রম করছেন, একই সঙ্গে নিজেকেও সমান ভাবে ফিট রাখছেন।’

    সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডল, লিঙ্কডইনের তুলনায় ইনস্টাগ্রামে তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি বেশি। এই মিলেনিয়াল প্রজন্ম অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। অভিষেক নিজেও নিয়মিত ওয়ার্ক–আউট করেন। এই মিলেনিয়াল জেনারেশনের সঙ্গে নিজের মাইন্ডসেটের সাযুজ্য থাকায় অভিষেক তাঁর ওয়ার্ক আউটের ছবি শুধু ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন, ফেসবুক কিংবা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেননি— এমনই পর্যবেক্ষণ তৃণমূল নেতৃত্বেরর। অভিষেক প্রথমে দুপুরে মিরর সেলফির সাদা–কালো ছবি পোস্ট করেছিলেন, পরে সন্ধ্যায় তিনি আন–ফিল্টারড রঙিন ছবি পোস্ট করেছেন।

    অতীতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রেড মিলে হাঁটার ছবি পোস্ট করেছেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখক স্টেপস হয়েছে কি না, সে দিকে মমতা নজর রাখেন বলে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের বক্তব্য। যদি ব্যস্ত সূচির কারণে কখনও মমতা ট্রেড মিল না–করতে পারেন, তা হলে সময় পেলে দ্রুত হেঁটে সেই টার্গেটেড স্টেপস পূরণ করে নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার মমতার ট্রেড মিল করার ছবিও পোস্ট হয়েছিল। সেই ছবি অবশ্য সেলফি কিংবা মিরর সেলফি ছিল না।

    স্মার্টফোনের যুগ আসার বহু আগেও মিরর সেলফি তোলার চল ছিল। যদিও তখন এই মিরর সেলফি শব্দবন্ধ ব্যবহার হতো না। সেলফ পোর্ট্রেট শব্দবন্ধের চল ছিল। গত শতকের শুরুর দিকে ছোট কোডাক ব্রাউনি বক্স ক্যামেরা আসার পরে তৎকালীন সময়ে অনেক হাতে ক্যামেরা নিয়ে আয়নার সামনে ছবি তুলেছেন— এর উদাহরণ রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে রাশিয়ার কিশোরী গ্র্যান্ড ডাচেস অ্যানাস্তেসিয়া নিকো‍লভনার এমন একটি ছবি এক সময়ে বিখ্যাত হয়েছিল। স্মার্টফোনের যুগ আসার আগে মোবাইল ফোনে সোনি–এরিকসন প্রথম ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা চালু করে, আইফোন–৪ মডেলে ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা থাকায় সেলফির চল বাড়তে শুরু করে। অভিষেকও আই–ফোনেই মিরর সেলফি তুলেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)