• রবিবার সৌরভের দ্বিতীয় বার সিএবি সভাপতি হওয়া কার্যত নিশ্চিত, বিনা যুদ্ধে নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা, গোপনীয়তা বাকি প্যানেল নিয়ে
    আনন্দবাজার | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রবিবারই নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে, দ্বিতীয় বারের জন্য সিএবি-র সভাপতি হচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কারণ, বিরোধী পক্ষের কারও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই।

    আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা। সে দিনই নির্বাচন সিএবিতে। রবিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। জানা যাচ্ছে, সৌরভ এবং তাঁর প্যানেল সে দিনই মনোনয়ন জমা দেবেন। বিরোধীদের কেউ নির্বাচনে না দাঁড়ালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিএবি প্রেসিডেন্ট হবেন সৌরভ।

    ঘটনা হল, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে সিএবি-র প্রতিনিধিত্ব করবেন সৌরভই। শুক্রবার সব রাজ্যসংস্থা তাদের প্রতিনিধির নাম বোর্ডের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সিএবি-ও জানিয়ে দিয়েছে সৌরভের নাম। ফলে শুক্রবারই এক দফা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, সৌরভই বাংলার ক্রিকেটের মসনদে বসতে চলেছেন।

    সৌরভের সভাপতি হওয়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেলেও তাঁর প্যানেল নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সচিব কে হবেন? দু’টি নাম ভাসছে। সঞ্জয় দাস এবং বাবলু কোলে। বাবলু এর আগেও সিএবি-র সচিব ছিলেন। তাই অনেকেই মনে করছেন তাঁরই সচিব হওয়া উচিত। জাতীয় ক্রীড়া আইন যেহেতু এখনও কার্যকর হয়নি, তাই লোধা নিয়মেই নির্বাচন করছে সিএবি। সেই নিয়মে এখনও এক বছরের কাছাকাছি তিনি সিএবি-র পদে থাকতে পারবেন। বাবলু সচিব হলে সঞ্জয় কোষাধ্যক্ষ হতে পারেন। তাঁকে যুগ্ম সচিবের পদও দেওয়া হতে পারে।

    এই জায়গায় অন্য একটি অংশ মনে করছেন, মাত্র এক বছরের জন্য সৌরভ কাউকে সচিব করতে চাইবেন না। সেক্ষেত্রে দৌড়ে এগিয়ে সঞ্জয়। অনেকেরই মত, সচিব পদে যোগ‌্যতার বিচারে এগিয়ে সঞ্জয়। সিএবি-র সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনের যোগাযোগ। ক্লাব হাউসের এক তলায় তাঁর একটি দফতরও রয়েছে দীর্ঘ দিন। সঞ্জয় সচিব হলে বাবলু সহ-সভাপতির পদ পেতে পারেন।

    সহ-সভাপতির পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন অনু দত্ত, প্রাক্তন ক্রিকেটার মদন ঘোষ এবং আইএফএ-র প্রাক্তন কর্তা সুব্রত দত্ত। সঞ্জয় সচিব বা যুগ্ম সচিব হলে কোষাধ্যক্ষ পদে আসতে পারেন বেলগাছিয়া ক্লাবের সুব্রত সাহা। এই পদের জন্য সিএবি-র প্রাক্তন সচিব বাবলু গঙ্গোপাধ্যায়ের পুত্র সৌমিক গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও শোনা যাচ্ছে। সিএবি-র কোনও পদ পেতে পারেন শ্রীমন্ত মল্লিকও। এখন সিএবি-তে গেলেই সৌরভের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। যেকোনও আড্ডায় আলাদা করে তাঁকে ডেকে নিচ্ছেন সৌরভ।

    তবে যাঁরা সৌরভের প্যানেলে থাকবেন, তাঁরা নিজেরাও যে জানেন, এমন নয়। শেষ মুহূর্তে বিরোধী (যদি আদৌ কিছু থেকে থাকে) গোষ্ঠী যাতে কোনও চাল না চালতে পারে, সেই কারণে সৌরভ নিজের প্যানেল নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। মনে করা হচ্ছে, রবিবার বিকেলে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে সকালে বাকি পদাধিকারীকদের জানানো হবে।

    সিএবি-র প্রাক্তন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়াকে সৌরভের বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছিল। তিনি নিজেও প্রস্তুত ছিলেন এই নির্বাচনে লড়ার জন্য। কিছু দিন আগে পর্যন্তও নিজের সমীকরণ ঠিক রাখতে নানা অঙ্কও কষেছেন। কখনও বাড়িতে, কখনও দফতরে সিএবি-র নানা কর্তার সঙ্গে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকও করেছেন। তবে কখনোই তিনি নির্বাচনে লড়ার কথা প্রকাশ্যে আনেননি। কিন্তু একটি সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে তিনি নির্বাচনে না লড়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)