নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার শহরের গোরস্থান এলাকায় বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে দিনভর পথ অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে রয়েছে। সেটি সারানোর দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। রাস্তার একটি অংশ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মায়া সাহা এদিন সেখানে গেলে বাসিন্দারা তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পরেও অবরোধ ওঠেনি। তাঁকে ঘেরাওমুক্ত করা যায়নি। এরপর পুরসভার পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার সেখানে গেলে অবরোধ ওঠে।
রাস্তাটির একটি অংশ পুরসভা এলাকায় রয়েছে। বাকিটা পঞ্চায়েত এলাকায়। রাস্তাটি পূর্তদপ্তরের তালিকাভুক্ত নয় বলে জানা গিয়েছে। পুরসভার দাবি, রাস্তাটি তাদের অধীনেও নেই। তবে পূর্তদপ্তর আগে রাস্তাটি সংস্কার করেছিল। এই পরিস্থিতিতে রাস্তা কবে মেরামত হবে, কারা করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শহর থেকে নিউ কোচবিহার স্টেশনে যাওয়ার অন্যতম রাস্তা এটি। এলাকায় বেশ কয়েকটি স্কুল, ক্যানসার হাসপাতাল রয়েছে। এমন একটি রাস্তার এমন বেহাল দশা নিয়েই ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা সুধন সাহা বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সেই কারণেই এদিন সকলে আন্দোলনে নেমেছেন। প্রশাসন না দেখলে আরও বড় আন্দোলন হবে। আমরা চাই, নিকাশি নালা সহ রাস্তাটি সুষ্ঠুভাবে নির্মাণ করা হোক।
ওয়ার্ড কাউন্সিলার মায়া সাহা বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। আমরা পূর্তদপ্তরের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে কাজ হয়েছে। এদিন সেখানে গেলে আমাকে ঘেরাও করে রাখা হয়। সাড়ে চারটা পর্যন্ত অবরোধ ছিল। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এসে পূর্তদপ্তরের সঙ্গে কথা বলবেন জানানোর পর অবরোধ ওঠে।
পূর্তদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মৃন্ময় দেবনাথ বলেন, রাস্তাটি আমাদের তালিকাভুক্ত তালিকায় নেই। তাই এর জন্য কোনও বাজেট ও পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করতে পারছি না।
কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, রাস্তাটি কিছুদিন আগে পূর্তদপ্তরের পক্ষ থেকে সংস্কার করা হয়েছিল। মন্ত্রী থাকার সময় আমি একবার সংস্কার করেছিলাম। কাউন্সিলারকে ঘেরাও করার কোনও মানে হয় না। আমরা পূর্তদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।