• ওয়ারিশন সার্টিফিকেটে কারচুপি করে জমি হাতানোর অভিযোগ মানিকচকে
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকে ওয়ারিশন সার্টিফিকেটে কারচুপি করে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি হাতানোর অভিযোগ এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। ওয়ারিশন সার্টিফিকেটে কারচুপি করার অভিযোগে মানিকচক থানায় প্রধানের বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ করেছেন উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক বলে দাবি করা শেখ জায়েদ। 

    মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুরের শেখপুরা গ্রামে প্রায় পাঁচ শতক জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস করেন মানিকচকের বিভিন্ন এলাকার ভূমিহীনরা। কিছুদিন আগে জায়েদ জানতে পারেন, সেই জমি স্থানীয় বাসিন্দা তথা এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা আঞ্জুম সাগীরা কিনে নিয়েছেন। 

    অভিযোগপত্র অনুযায়ী, এই পাঁচ শতক জমির মালিক দুই ভাই আবিরুদ্দিন ও খাবিরুদ্দিন শেখ। তাঁরা প্রয়াত হওয়ার পর ওয়ারিশ সূত্রে মালিক আবিরুদ্দিনের পুত্র শেখ জায়েদ ও খাবিরুদ্দিনের ছেলে শেখ ফরিদ। জায়েদের অভিযোগ, খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিরোধী দলনেতার যোগসাজশে ওয়ারিশন সার্টিফিকেটে কারচুপি করে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরির পর জমি বিক্রি করা হয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে প্রধান এই শংসাপত্র তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ তাঁর।

    বিষয়টি জানা মাত্রই শনিবার এলাকাবাসীদের নিয়ে মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়ে এনায়েতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তপতী মণ্ডল মজুমদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন জায়েদ। 

    তিনি বলেন, জমিটি আমার বাবার। তিনি এলাকার ভূমিহীনদের কথা ভেবে তাঁদের বসবাস করতে দিয়েছেন। কারচুপি করে ওয়ারিশন সার্টিফিকেটে বাবার নাম পরিবর্তন করে জমির মালিক বদলে দেওয়া হয়েছে। সেই শংসাপত্র দেখে জমিটি কিনেছেন পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। জমিটির বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। তাই সেটি হাতাতে এই চক্রান্ত করেছেন তাঁরা। মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়েছি। ভূমি সংস্কার দপ্তরেও বিষয়টি জানাব।

    ফরিদের দাবি, তিনিই জমির মালিক। সঠিক ওয়ারিশন সার্টিফিকেটও রয়েছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    আঞ্জুম  বলেন, ওয়ারিশন শংসাপত্র দেখে শেখ ফরিদের কাছে জমি ক্রয় করেছি। কোনও কারচুপি হয়নি। প্রধান সমস্ত তথ্য যাচাই করেই শংসাপত্র দিয়েছেন। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।

    প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা জমির মালিক নন। এফিডেভিট, আধার যাচাই করেই শংসাপত্র প্রদান করেছি।

    মানিকচক থানার এক আধিকারিক জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)