দলীয় কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি তৃণমূল নেতার
বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: একের পর এক ঘটনায় ফেসবুকে সরব হওয়া তমলুকের দলীয় কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুললেন তৃণমূল নেতা। শনিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি শরৎ মেট্যা বলেন, পুরসভার ১০নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পার্থসারথি মাইতি নানা ইস্যুতে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। কখনও কানধরে ওঠবস করছেন। আবার কখনও তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্রকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতি হচ্ছে। লোকজন আমাদের এনিয়ে নানা প্রশ্ন করছেন। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয়স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ডিমারি থেকে কাঁকটিয়া মিছিল ছিল। সেই মিছিলে অংশ নিয়ে নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে জানান, ২০২৬সালে তমলুক বিধানসভায় ফের প্রার্থী হবেন সৌমেন মহাপাত্র। তাঁকে বিপুল ভোটে এলাকার মানুষজন জেতাবেন বলেও তিনি আশাবাদী বলে মন্তব্য করেন। প্রার্থী ঘোষণার আগেই নন্দকুমারের বিধায়কের এহেন মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে। এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনরায় তীর্যক মন্তব্য করেছেন তমলুক পুরসভার ১০নম্বরের কাউন্সিলার পার্থসারথি। প্রার্থী ঘোষণার আগেই যেভাবে সৌমেনবাবুকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি বলে পার্থসারথির দাবি। এদিন শরৎবাবু বলেন, পার্থসারথির আদিবাড়ি তমলুকে নয়। তাঁর বাবা কর্মসূত্রে এখানে এসে বসবাস করছেন। ধারাবাহিকভাবে পার্থসারথি যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি রাজ্য যুব তৃণমূল সহ সভাপতি। তাঁকে সেই পদ থেকে সরানোর দাবি জানাচ্ছি। জেলা সভাপতি ও জেলা কমিটির চেয়ারম্যানের কাছেও এই দাবি জানিয়েছি। পার্থসারথি বলেন, আমার বাবা খুকুড়দা থেকে তমলুকে এসে বাড়ি বানালেও আমি তমলুক হাসপাতালে জন্মেছি। জন্মসূত্রে তমলুকবাসী। কিন্তু, সৌমেনবাবু জন্মসূত্রে পূর্ব মেদিনীপুরের নন। সেটাই ফেসবুকে বলেছি। এর পাশাপাশি তাঁকে বহিরাগতও বলেছি। এরমধ্যে অন্যায় কিছু নেই। চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে দলের নেতারা চুপ। যাঁরা চাকরি বিলিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে দল পাল্টেছেন তাঁদের বিষয়ে নিশ্চুপ। আমি সেই জন্য কান ধরে ওঠবস করে মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।