• জমিদারের নিষেধ অগ্রাহ্য করে পুজো শুরু হয় জয়নগরের পাণ্ডব বাড়িতে
    বর্তমান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: জয়নগর-মজিলপুরের পাণ্ডব বাড়ির পুজো ১৭৬ বছরে পড়ল। এই পরিবারের পূর্বপুরুষ চন্দ্রকুমার ভট্টাচার্য ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছাত্র। বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন তাঁদের পূর্বপুরুষ দর্পনারায়ণ ভট্টাচার্য। পাণ্ডব উপাধি সূত্রে পেয়েছে এই পরিবার। এই বাড়ির পুজোয় দুর্গার সঙ্গে মহিষ থাকে না। দেবীর একচালার মূর্তি।

    জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পাণ্ডব বাড়ি। এখন দূর্গাদালানে চলছে মূর্তি তৈরির কাজ। পরিবারের সদস্যরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সবাই পুজোর সময় এসে মিলিত হন। পরিবারের প্রবীণ সদস্য প্রতীপকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘মজিলপুরে একসময় জমিদার দত্তদের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনও বাড়িতে দুর্গাপুজো করায় বিধিনিষেধ ছিল। এর প্রতিবাদ করেছিল আমাদের পূর্বপুরুষ। এই নিয়ে দত্তদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। জমিদার লাল দত্ত আমাদের পাশে দাঁড়ান। তাঁর উৎসাহেই আমাদের পুজো শুরু। ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় বোধন। আগে মহিষ বলি হত। কিন্তু তাতে বাধা পড়েছিল। তাই বন্ধ হয়ে যায়। নবমীতে কুমড়ো, আখ বলি হয়। নবমীতে কুমারী পুজোও হয়ে আসছে। আমাদের আত্মীয়-পরিজনের মেয়েকেই কুমারী পুজোতে বসানো হয়। সপ্তমী থেকে নবমী মাকে মাছ, শুক্তো, সব্জি, ছোলার ডাল, পায়েস, চাটনি ভোগ দেওয়া হয়। বিসর্জনের পরে শোভাযাত্রা সহকারে দেবীকে কাঁধে নিয়ে যাওয়া হয়।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)