নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: প্রায় চারবছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন যুবতী। কাজের ‘টোপ’ দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচিত এক যুবকের টোপে পা দিয়ে পাচার হয়ে যান তিনি। তাঁকে পাচার করা হয় যৌনপল্লিতে। তদন্তে নেমে পুলিশ দীর্ঘদিন পর ওই যুবতীকে উদ্ধার করে তুলে দিল পরিবারের হাতে। মেয়েকে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে, এই কাণ্ডে যুক্ত চক্রের কাউকেই অবশ্য ধরতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন পুলিশ এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। না হলে ফের একই ঘটনা ঘটবে।
জানা গিয়েছে, বছর চার আগে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অশোকনগরের বাসিন্দা ৩০ বছরের এক যুবতীকে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন পাচার চক্রের কয়েকজন। পরবর্তীতে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয় যৌনপল্লিতে। সেখানেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুবতীকে দেহ ব্যবসায় নামানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর কাছে ছিল না কোনও ফোন। গোপনে কোনওরকমে মাসখানেক আগে দিল্লি থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই যুবতী। পরিবারের লোকজন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে আগেই অশোকনগর থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন। ফোনের পর জোরকদমে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে যুবতীর খোঁজে দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তবে যুবতীর কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ।
সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে, দিল্লির একটি যৌনপল্লিতে বন্দি আছেন তিনি। অশোকনগর থানার পুলিশের একটা টিম সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশ আসার খবর জানতে পেরেই যৌনপল্লির দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। যুবতীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার তাঁকে উদ্ধার করে দিল্লি থেকে অশোকনগরে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই চক্রের সদস্যদের খোঁজ চলছে।