• 'আর সহ্য করতে পারছি না', স্ত্রী, শাশুড়ির নির্যাতনে জেরবার, চরম পদক্ষেপের আগে ভয়াবহ অভিযোগ যুবকের ...
    আজকাল | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনের পর দিন হেনস্থার শিকার। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের নির্যাতনের জেরে চরম পদক্ষেপ করলেন ৪০ বছর বয়সি এক যুবক। স্ত্রী ও তাঁর বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ জানিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ওই যুবক আত্মঘাতী হন। বিষপান করে আত্মহত্যার আগে তিনটি ভিডিও করেছিলেন তিনি। যেখানে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতন, হেনস্থা ও অশান্তির অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। 

    পুলিশ আধিকারিক বিক্রম সিং জানিয়েছেন, আত্মহত্যার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।‌ মৃত যুবকের নাম, জান মহম্মদ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, যুবককে লাগাতার হেনস্থা করতেন স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত তাঁকে। 

    জান মহম্মদের ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, মারধর করার পাশাপাশি মানসিকভাবেও নির্যাতন করা হয়েছিল জান মহম্মদকে। স্ত্রী, শাশুড়ি, শ্যালক সহ শ্বশুরবাড়ির একাধিক সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবকের ভাই। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। 

    জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে জান মহম্মদের স্ত্রী শেহনাজ নিজের বাড়িতেই ছিলেন। জান মহম্মদের বাড়ি, জমি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিলেন। এমনকী নিজের মেয়ের বিয়ের দিনেও এই ঝামেলার জেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন শেহনাজ। মিথ্যে অভিযোগ এনে জান মহম্মদকে দিনের পর দিন হেনস্থা করতেন শেহনাজ ও তাঁর আত্মীয়রা। 

    ভিডিওতে জান মহম্মদ জানিয়েছেন, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য তিনি গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সমস্ত সম্পত্তি যেন অবিবাহিত চার মেয়ের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করবে তারা। 

    প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে আরও এক যুবকের মর্মান্তিক পরিণতি হয় শ্বশুরের হাতে। পরিবারের অমতে বিয়ে। আর বিয়ের পরেই অন্তঃসত্ত্বা তরুণী। পরপর এই ঘটনায় রাগে ফুঁসছিলেন তরুণীর বাবা। পারিবারিক অশান্তিও চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। যা মিটমাট করতে অবশেষে থানায় পৌঁছন জামাই ও শ্বশুর। সেখানেই পুলিশের চোখের সামনে ঘটে গেল রক্তারক্তি কাণ্ড। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা, ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমরোলি থানায় পুলিশের সামনেই জামাইকে কুপিয়ে খুন করেন তাঁর শ্বশুর। মৃত যুবকের নাম, সাগর। পরিবারের অনুমতি না নিয়ে, তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে প্রেমিকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। 

    জানা গেছে, সাগরের স্ত্রী সম্প্রতি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন‌। পরিবারের, বিশেষত তাঁর বাবা দেবীদাস কাধরে, মেয়েকে গর্ভপাত করার জন্য জোরাজুরি করেন। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না তরুণী। যা ঘিরে পারিবারিক অশান্তিও শুরু হয়। বিষয়টি মিটমাট করতে থানায় গিয়েছিলেন সাগর ও তরুণীর বাবা দেবীদাস। পুলিশের সামনেই শ্বশুর ও জামাইয়ের তুমুল বচসা শুরু হয়। 

    সেই বচসা চলাকালীন হঠাৎ জামার মধ্যে থেকে ধারালো ছুরি বের করে সাগরের উপর হামলা করেন দেবীদাস। পুলিশের চোখের সামনেই জামাইকে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সাগরের গলায় একাধিকবার ধারালো ছুরির কোপ মারেন দেবীদাস। রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে থানাতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়ার পরেই সাগরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 

    থানার মধ্যে, পুলিশ আধিকারিকের সামনেই এমন ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাটি ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে থানাতেই। ঘটনার পরেই দ্রুত দেবীদাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। 
  • Link to this news (আজকাল)