বিতর্ক সত্ত্বেও এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে বিসিসিআই তাদে দল পাঠিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ইতিমধ্যেই প্রতিযোগিতায় একটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে ভারত। আজ সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিলদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার পালা। এই আবহে কংগ্রেস, শিবসেনা
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কংগ্রেসের শাসনামলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলা হত। রাজনীতিক কারণে এখন এই নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে... আর এখন পাকিস্তানের সাথে ভারতের ম্যাচ থাকলেই তাদের দেশপ্রেম জেগে ওঠে। আমরা তো বাণিজ্যে পাকিস্তানকে বয়কট করা হয়েছে। আমাদের পাকিস্তানের সাথে লড়াই করতে হবে। আমরা তাদের সাথে আমাদের মাটিতে লড়াই করেছি এবং তাদের পরাজিত করেছি। আমরা পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে পরাজিত করেছি। আমরা পাকিস্তানকে বিদেশের মাটিতেও পরাজিত করব, যেখানে আজ আমরা তাদের বিরুদ্ধে খেলব। আমাদের মাঠ থেকে সরে আসা উচিত নয়... পাকিস্তানি শিল্পীরা বছরের পর বছর ধরে এখানে এসেছিলেন, পারফর্ম করেছিলেন এবং অর্থ উপার্জন করেছিলেন। কিন্তু তাদের কিছুই বলা হয়নি। তারা পাকিস্তানে গিয়েছিলেন এবং তারা ভালো বন্ধু ছিলেন কিন্তু সেই সময় কিছুই বলা হয়নি। হঠাৎ কেন এমন হচ্ছে?'
এরপর দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'দেখুন, ভারত তো পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। এটা পাক্কা। এর আগেও তারা যায়নি। এটাই আমাদের অবস্থান। বাকি ক্রিকেট বোর্ড আছে, সরকার আছে, তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নির্ণয় করবে। আর ক্রিকেট ভারতে একটা আবেগ। আর আমরা পাকিস্তানকে হারাতে পারি। আমরা হারিয়ে এসেছি। এতে দেশে লোকেদের মধ্যে জোশ আসে। লোকে তৃপ্তি পায়।'
কয়েকমাস আগেই পহেলগাঁওয়ে নৃশংস হামলার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। পাল্টা 'অপারেশেন সিঁদুর' অভিযানে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। সব মিলিয়ে ২২ এপ্রিল পরবর্তী ভারত-পাক কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই অবস্থায় ২০২৫ সালের এশিয়া কাপে রবিবার যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের অনুমতি দেওয়ায় একাধিক রাজনৈতিক দল কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছে। সব মিলিয়ে রবিবারের ম্যাচের আগে মাঠের বাইরে উত্তেজনা বাড়ছে।