• বিভ্রান্তি কাটাতে ভরসা খসড়া ভোটার তালিকা
    আনন্দবাজার | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ২০০২ সালের এসআইআর (ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন)-এর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ্যে এনেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) কার্যালয়। কিন্তু সেই তালিকায় নাম খুঁজে বের করতে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে একযোগে দু’টি পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চাইছে কমিশন— প্রকাশ্যে আসা এসআইআর তালিকা ডিজিটাল মাধ্যমে পুনরায় প্রকাশ করা এবং সেই তালিকার ভিত্তিতে ২০০৩ সালে তৈরি খসড়া ভোটার তালিকাও সিইও-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা। কমিশনের একাংশের বক্তব্য, এ রাজ্যে আসন্ন এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে যে উত্তাপ বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ ভোটারদেরও। প্রকাশিত তালিকায় নাম খুঁজে না-পেয়ে বাড়ছে বিভ্রান্তিও। তাই মূল এসআইআর শুরুর আগে এই নতুনপদক্ষেপের চেষ্টা।

    বর্তমানে সিইও দফতরের ওয়েবসাইটে থাকা গত এসআইআরের তালিকাটি ‘পিডিএফ’ হিসেবে আছে। সেই বিপুল তথ্যভান্ডারের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি নাম একবারে খুঁজে পাওয়া (‘সার্চ’ করার সুবিধা না থাকায়) বেশ মুশকিল। তাই গত ১০ সেপ্টেম্বর সব রাজ্যের সিইও-র সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন কর্তারা এমন সুবিধাযুক্ত প্রযুক্তিতে তালিকাটি পুনরায় প্রকাশ করতে বলেছেন যাতে তালিকা থেকে কোনও একজন ভোটার তাঁর নাম সহজে (সার্চ অপশনের মাধ্যমে) খুঁজে পেতে পারেন। তার পরে সেই কাজ শুরুও করেছে সিইও দফতর। তাতে মূল তালিকাটি ডিজিটাল মাধ্যমে পরিবর্তন করার চেষ্টা চলছে। সেই বদলে যদি সব তথ্য নিখুঁত থাকে, তবেই তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রকাশ করা হবে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকাও। কারণ, ২০০২ সালের এসআইআর-এর ভিত্তিতেই ওই খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছিল। তাই এসআইআর তালিকায় কোনও নাম না-থাকলেও তা ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকায় থাকতে পারে।

    কমিশন-কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, প্রতিটি জেলা থেকে বিধানসভা কেন্দ্র, এলাকা, পার্ট নম্বর ধরে তৈরি এসআইআর তালিকাগুলি একত্র করে আপলোড করা হয়েছিল। এমন ধরনের তথ্য দীর্ঘসময়ের জন্য সংরক্ষণ করে রাখাই রীতি। কিন্তু আপলোড প্রক্রিয়া শুরুর পরে একাধিক জেলা প্রশাসন কিছু কিছু অংশের তালিকা খুঁজে পায়নি। তাই সেগুলি একত্রিত তালিকার মধ্যে জায়গা পায়নি। সেই কারণেই ২০০২ সাল বা তার পরের কোনও ভোটে অংশ নেওয়া ভোটারদের অনেকে নিজেদের নাম, এলাকা বা পার্ট নম্বর খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই বিকল্প হিসেবে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকাটি আপলোড করা হবে।

    কমিশন সূত্রের বক্তব্য, ১১ সেপ্টেম্বর ২০০২ সালের এসআইআর এবং চলতি বছরে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখার কাজ থেকে শুরু হয়েছে। এ বছরের তালিকায় থাকা ভোটারদের কতজনের নাম ২০০২ সালের তালিকায় পাওয়া যাচ্ছে, তা আগে থেকে নথিবদ্ধ করে রাখতে হবে। এমন ব্যক্তি বা তাঁদের সন্তানদের কোনও নথি দাখিল করতে হবে না। প্রয়োজন হবে না যাচাইয়েরও। শুধু কমিশনের নির্দিষ্ট আবেদনপত্রটি পূরণ করেরাখলেই চলবে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)