• খুন করে কালভার্টের নীচে দেহ লোপাটের চেষ্টা, গ্রেফতার দুই
    আনন্দবাজার | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া উচ্ছেগড়ে কালভার্টের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি দেহ উদ্ধার করল জগদ্দল থানার পুলিশ। শনিবার সকালে স্থানীয় দোকানদারেরা দেহটি দেখতে পান। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ইশতিয়াক কুরেশি (৪০) ওরফে হীরা। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ভাটপাড়া থানার মানিকপিরে ইশতিয়াক থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতের এক আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পর পরই ইশতিয়াকের ঘনিষ্ঠ দু’জনকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম রশিদ কলিম ও ঝন্টু মিস্ত্রি।

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ইশতিয়াককে ব্যারাকপুরে ডেকে এনে তাঁর সঙ্গে নেশা করে ওই দু’জন। নেশায় বুঁদ ইশতিয়াককে মোটরবাইকে বসিয়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে উচ্ছেগড় খালের কাছে নিয়ে যায় তারা। ইমারতি সামগ্রীর একটি দোকানের কাছে ইট জাতীয় কিছু দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলে খুন করে কালভার্টের নীচে ফেলা হয় দেহটি। ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রোমোটারি সংক্রান্ত কারণে খুন বলে জানা যাচ্ছে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।’’

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকপিরের যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন ইশতিয়াক, সেখানে বহুতল হচ্ছে। দীর্ঘদিনের ভাড়াটে ইশতিয়াকের দাবি, তাঁকে একটি ফ্ল্যাট দিতে হবে। ফ্ল্যাট তৈরি করছিল রশিদ কলিম ওরফে পিন্টু। কিছু দিন ধরেই ফ্ল্যাটের মাপ নিয়ে রশিদের সঙ্গে ইশতিয়াকের বনিবনা হচ্ছিল না। যত বড় অংশ ইশিতিয়াকের দাবি ছিল, তা দিলে রশিদের লাভ তো দূর, আর্থিক ক্ষতি হবে বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিল সে।

    তদন্তকারীরা জানান, বিশ্বকর্মা পুজোয় খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা করতে ইশতিয়াক ও রশিদের বন্ধু ঝন্টুর সঙ্গে ব্যারাকপুরে দেখা করার পরিকল্পনা হয় শুক্রবার রাতে। মদ ও মাংস খাওয়ার পরে নেশাগ্রস্ত ইশতিয়াককে খুন করে দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে তারা। সেই মতো মাথার পিছনে থেঁতলে খুনের পরে দেহ কালভার্টের নীচে ফেলে দেওয়া হয়।

    কালভার্টের কাছেই ইমারতি সামগ্রীর ব্যবসা শুভঙ্কর মণ্ডলের। তিনি বলেন, ‘‘সকালে দেখি, দোকানের কাছে রক্ত ও চটি। পুলিশে এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’’ খুনের ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে ইশতিয়াকের পরিবার।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)