শাকসবজিতে ছিটকে পড়ল রক্ত, ভরা বাজারে স্ত্রীকে পরপর কোপ, স্বামীর কীর্তিতে হুলস্থুল কাণ্ড এই শহরে
আজকাল | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিত্যদিন ঝামেলা। অশান্তিতে জেরবার হয়ে পড়েছিলেন ৩৭ বছরের যুবক। অবশেষে ভরা রাস্তায় স্ত্রীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় রীতিমতো শিউরে উঠেছেন পথচলতি মানুষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাও।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামের সেক্টর ১৫-তে। শনিবার সকালেই ওই এলাকায় ৩০ বছর বয়সি তরুণীকে কুপিয়ে খুন করেন ৩৭ বছরের করণ সিং। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত করণ আদতে মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার আত্রাই গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি দিল্লির পীতমপুরা এলাকায় বসবাস শুরু করেন। অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা গুরুগ্রামের প্যাটেল নগরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, শনিবার সকাল ন'টা নাগাদ ভরা রাস্তায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরেই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত তরুণীর নাম, ধন্যি তরফে পাপিতা। তিনি পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন।
তরুণীর ভাই থানায় জানিয়েছেন, করণ নিত্যদিন স্ত্রীকে মারধর করতেন। দাম্পত্য কলহের জেরেই স্বামীকে ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন ধন্যি। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফ আই আর দায়ের করেন তরুণীর ভাই। সেই ভিত্তিতে যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত যুবক জানান, পুরনো এক ঝামেলার জেরে খুনের ঘটনাটি তিনি ঘটিয়েছেন। ভরা রাস্তায় স্ত্রীকে তার থেকে পাঁচবার কুপিয়ে খুন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত এপ্রিল মাসেই দাম্পত্য কলহের জেরে আরও একটি ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। দাম্পত্য কলহের চরম পরিণতি। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীয়ের গলা টিপে খুন করেন স্বামী। মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ঘাতক স্বামী। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ২৭ বছরের অনুষা ও জ্ঞানেশ্বরের মধ্যে তুমুল বচসা হয়। ঝগড়া চলাকালীন অনুষাকে গলা টিপে খুন করেন। পরে থানায় এসে খুনের বর্ণনা দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, তিন বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন অনুষা ও জ্ঞানেশ্বর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই দু'জনের মধ্যে নিত্যদিন ঝামেলা, অশান্তি হত। পরিবার, প্রতিবেশীরাও দু'জনের ঝামেলার কথা জানতেন। অনুষা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেদিন সকালেও হঠাৎ তর্কাতর্কি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে। রাগের মাথায় অনুষার গলা টিপে ধরেন জ্ঞানেশ্বর। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হবু মা। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান জ্ঞানেশ্বর।
সে সময় পরিবার ও বন্ধুদের যুবক জানিয়েছিলেন, অনুষার আচমকা শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর থানায় গিয়ে নিজেই খুনের ঘটনাটি জানান যুবক। সে সময়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।