শ্যালিকাকে দেখেই বুকে উথালপাতাল, স্ত্রীকে না জানিয়ে বিয়েও করলেন! যুবকের আরও কীর্তি জানলে শিউরে উঠবেন ...
আজকাল | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীর সঙ্গে এক দশক ধরে সংসার। তা সত্ত্বেও শ্যালিকার সঙ্গে মাখো মাখো প্রেম। সেই প্রেম পরিণতি পায় চুপিসারে। কোর্টে গিয়ে শ্যালিকাকে বিয়ে করেন। দুই স্ত্রী মুখোমুখি হতেই অশান্তি শুরু হয়। রাগের মাথায় দুই স্ত্রীর মেজাজ সামলাতে না পেরে, দুজনকেই মারধর শুরু করেন যুবক। এমনকী পুলিশকেও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের চন্দৌলি জেলায়। নিখিলেশ ওরফে পিন্টু রাম বিবাহিত। এক দশকের বেশি সময় তিনি স্ত্রীর সঙ্গে কাটিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও স্ত্রীর নিজের বোনের প্রেমে হাবুডুবু খান। চন্দ্রকলা তাঁর প্যরথম স্ত্রী। দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের। তার সত্ত্বেও শ্যালিকা নন্দিনীকে বিয়ে করেন তিনি। কোর্এটে গিয়ে আইনি মতে বিয়ে সারেন।
দিন কয়েক পরেই স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে জানতে পারেন চন্দ্রকলা। স্বামীর সংসার ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে আসেন। এরপর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অবশ্য আবারও শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসেন। দিন কয়েক পরেই দ্বিতীয় স্ত্রী নন্দিনীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পিন্টু। সেই সময় অশান্তি আরও চরম পর্যায়ে পৌঁছয়।
পরিবারের অভিযোগ, চন্দ্রকলা ও নন্দিনী দু'জনকেই মারধর করেন পিন্টু। রাগের মাথায় বাড়িতেও ভাঙচুর করেন। ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয়। এরপর পুলিশের উপরেও হামলা করেন পিন্টু। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার পরেই পিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে আরও একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। শ্যালিকার প্রেমে হাবুডুবু যুবকের। তাতেই রেগে আগুন আত্মীয়রা। অবশেষে বিয়েবাড়িতে চলল পরপর গুলি। বিয়েবাড়ির আসর থেকে উদ্ধার ৩২ বছরের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। পরিচিতিদের অভিযোগ, শ্যালিকার প্রেমে পড়ায় যুবককে গুলি করে খুন করেছেন তাঁর আত্মীয়রাই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, জেবা মুকুন্দপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন ৩২ বছরের অমিত ত্রিবেদী। তাঁর এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল শুক্রবার রাতে। বিয়ের শোভাযাত্রায় হঠাৎ সানাইয়ের সুরের বদলে গুলির আওয়াজ শুনতে পান সকলে। কিছুক্ষণ পর সকলেই দেখেন, একপাশে পড়ে রয়েছে অমিতের গুলিবিদ্ধ দেহ। তখনই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
অমিতের পরিচিতরা পুলিশকে জানিয়েছেন, দু-তিন বছর আগে অমিতের স্ত্রী মারা যান। এরপর মৃত স্ত্রীর এক বোনের প্রেমে পড়েন অমিত। সেই সম্পর্ক ঘিরে পরিবারে অশান্তিও হয়েছিল। শ্বশুরবাড়িতে তারপর থেকে আর যেতেন না।
অমিতের শ্বশুরবাড়ি জেবা মুকুন্দপুর গ্রামেই। স্থানীয়দের অনুমান, অমিতের আসার খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই খুনের পরিকল্পনা করেন। এই ঘটনার পর অভিষেক ও অমন নামের দুই যুবক পলাতক। অভিষেক অমিতের স্ত্রীর তুতো ভাই। স্থানীয়দের অভিযোগ, অভিষেক গুলি করে অমিতকে খুন করেছেন। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।