জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মৃতের নাম সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী (৩২)। তাঁর বাড়ি কলকাতার ট্যাংরার ১০ নম্বর কার্তিক মণ্ডল লেন, জেলে পাড়ায়। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত ভাসা বিডিও অফিসের সামনে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পরিবার সূত্রে খবর, সিভিকের ডিউটির পাশাপাশি একটি ব্লাড ব্যাঙ্কে পার্টটাইম কাজ করতেন সৌম্যজিৎ। শনিবার রাতে স্কুটিতে করে ব্লাড কালেকশনের রিপোর্ট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। রাত দেড়টা নাগাদ পরিবারের সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়। এরপর থেকেই তাঁর মোবাইল সুইচ অফ পাওয়া যায়।
ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ না হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ে পরিবারের। তৎক্ষণাৎ তিলজলা থানায় যোগাযোগ করেন তাঁরা। সেখান থেকে খবর যায় বিষ্ণুপুর থানায়। পরে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়ি ফেরার পথে একটি লরি সৌম্যজিৎকে ধাক্কা মারে। লরিটি তাঁর কোমরের উপর দিয়ে চলে যায় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রাতেই দুঃসংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান পরিবারের সদস্যরা। একমাত্র ছেলের এই অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার। ইতিমধ্যেই সৌম্যজিতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মোমিনপুরে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক লরির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুপুর থানার আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।