• রানিতলায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মুর্শিদাবাদের রানিতলায় অগ্নিকাণ্ড ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। শনিবার গভীর রাতে বেণীপুর ভাঙনপাড়া এলাকায় অগ্নিদগ্ধ মৃত্যু হল একই পরিবারের তিন শিশুর। মৃতরা হল – যমজ ভাই সাহিল ও আদিল (৭) এবং তাদের দিদি সাজিদা (৯)। তিনজনই স্থানীয় বাসিন্দা শোয়ান শেখের সন্তান।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে যখন গোটা গ্রাম ঘুমিয়ে, ঠিক তখনই ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেই স্থানীয়রা ছুটে আসেন, খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশকে। দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, বাড়ির রান্নাঘরে থাকা বিদ্যুতের খোলা তার থেকেই শর্টসার্কিটের ফলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। তবে ততক্ষণে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির অধিকাংশ অংশ।

    গোটা এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনার সময় ঘরের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিল তিন শিশু। চোখের সামনে সন্তানদের পুড়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের মা। তিনি বলেন, ‘যখন ঘুম ভাঙে, ততক্ষণে দাউ দাউ করে জ্বলছে ঘর। প্রাণপণে চেষ্টাও করেছিলাম ওদের বাঁচাতে। কিন্তু পারিনি। সব শেষ হয়ে গেল।’

    মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার। তিনটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় নশিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এত বড় দুর্ঘটনা এলাকার মানুষ আগে কখনও দেখেননি।

    বিধায়ক জানান, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। প্রশাসনের তরফেও সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।’ পুলিশ ও দমকল ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিদ্যুৎ দপ্তরকেও তড়িঘড়ি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)