• ‘এক ছাদের নিচে থাকব না’, মোদির কাছে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি কুকি বিধায়কদের
    প্রতিদিন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মেতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকা সম্ভব নয়।’ হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরকে ভেঙে আদিবাসীদের নিয়ে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি জানলেন কুকি-জো বিধায়করা। ফলে শান্তির বার্তা নিয়ে ২৮ মাস পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মণিপুরে পা রাখলেও, সে সম্ভাবনার আশা বড়ই কম বলে মনে করা হচ্ছে।

    শনিবার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে পা রেখে প্রধানমন্ত্রী শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন। মণিপুরের জন্য উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বলেছিলেন, সংঘর্ষ থামলেই রাজ্যে উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখা তখনই সম্ভব। উন্নয়নের জন্য শান্তি জরুরি। সেই লক্ষ্যে রাজ্যেরবিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। পাশাপাশি মণিপুর হিংসায় ঘরহারাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের সমস্যা শোনেন প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন পাশে থাকার। প্রধানমন্ত্রীকে পাশে পেয়ে কুকি-জো বিধায়কদের তরফে একটি স্বারকলিপি দেওয়া হয়।

    যেখানে লেখা হয়েছে, ‘চূড়াচাঁদপুরে আপনাকে হৃদয় থেকে স্বাগত জানাই। আশা করব আপনার এই সফরের পর রাজ্যে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে। আপনি জানেন, মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা থেকে আমাদের লোকজনকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের উপর নৃশংস অত্যচার করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠরা সংখ্যালঘু আদিবাসীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে।’ এর পরই লেখা হয়েছে, ‘এই দুই সম্প্রদায় ভালো প্রতিবেশী হিসেবে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, কিন্তু কখনই এক ছাদের নিচে থাকতে পারে না।’ এ প্রসঙ্গে মণিপুর ভেঙে আদিবাসীদের জন্য আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি জানানো হয় কুকি বিধায়কদের তরফে। লেখা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই এই সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। এর ফলেই শান্তি, নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং আমাদের জনগণের মধ্যে একাত্মতার অনুভূতি তৈরি হবে।’

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে হিংসায় দগ্ধ মণিপুর। সেই ঘটনার মাত্র ২ মাস পর ১০ জন আদিবাসী বিধায়ক কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিল কুকিদের জন্য পৃথক প্রশাসন গঠনের। তবে সে দাবি মান্যতা পায়নি। মণিপুরে মেতেই সম্প্রদায়ের বাস ইম্ফল উপত্যকায়। কুকিরা থাকেন পাহাড়ি অঞ্চলে। গত দু’বছরে চুড়াচাঁদপুরই ছিল হিংসার কেন্দ্রস্থল। এখানে মৃত্যু হয় ২৬০ জনের। শনিবার সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন মোদি। মণিপুরকে “সাহস ও দৃঢ়তার ভূমি” বলে প্রশংসা করেন তিনি। চূড়াচাঁদপুরের ত্রাণ শিবিরে বয়স্ক এবং শিশুদের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। ত্রাণ শিবিরে শিশুরা হাতে আঁকা ছবি, ফুলের তোড়া এবং পালকের টুপি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে দেয়। এই সফরে মোদির সঙ্গে ছিলেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)