• ‘বাধ্য হয়েই…’, ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে ক্ষোভের মুখে কী সাফাই বিজেপির?
    প্রতিদিন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পরও পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক কেন? সিঁদুর হারানো ২৬ মহিলার কান্নার চেয়েও কি বড় টাকা? যে সরকার জাতীয়তাবাদের কথা বলে, রক্ত ও জল একসঙ্গে বইবে না বলে হুঙ্কার দেয়, সেই সরকারই কেন পহেলগাঁওয়ে মৃতদের পরিবারকে এত যন্ত্রণা দিচ্ছে? রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে হাজারো প্রশ্নের সম্মুখীন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা ব্যাকফুটে গেরুয়া শিবির। এই বহুবিধ প্রশ্নের জবাবে খানিক আমতা আমতা করেই দিলেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর।

    অনুরাগের বক্তব্য, অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার মাঠে নামতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, “এই ধরনের বহুদেশীয় টুর্নামেন্ট যখন এসিসি বা আইসিসি তখন এই ধরনের ম্যাচগুলিতে অংশ নেওয়াটা বাধ্যবাধকতা। আমরা যদি এই ম্যাচ না খেলি তাহলে টুর্নামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া হবে। অন্য দল পয়েন্ট পেয়ে যাবে।” অনুরাগের বক্তব্য, বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে হচ্ছে ভারতকে। তবে একই সঙ্গে তাঁর স্পষ্ট কথা, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও সিরিজ ভারত খেলবে না।

    পহেলগাঁও হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত ক্রিকেটীয় সম্পর্ক শেষ করার দাবি উঠেছে। এশিয়া কাপে বা আর কোনও বহুদলীয় টুর্নামেন্টেও যাতে কোনওভাবে পাকিস্তানের মুখোমুখি না হতে হয়, সেটাও নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে। এর মধ্যে পাকিস্তানও ভারতে নিজেদের হকি দল পাঠায়নি। বিতর্কের আবহে লেজেন্ডস লিগে ইরফান পাঠান, হরভজন সিংরা পাকিস্তানের কিংবদন্তিদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে রাজি হননি। তবে সেসব উপেক্ষা করেই এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দল নামাতে চলেছে বিসিসিআই। যা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা দ্বিধাবিভক্ত। একটা অংশের মত, হিংসা আর খেলাধুলো একসঙ্গে চলতে পারে না।

    বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ এই ম্যাচ নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে। শিব সেনা, AIMIM, আপের মতো দল সরাসরি এই ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)