• সপ্তাহে ছয়দিন স্কুলের মধ্যে তৈরি হচ্ছে ড্রাগ, রবিবার ডেলিভারি! বড়সড় কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস হায়দরাবাদে
    প্রতিদিন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  স্কুলের মধ্যেই ড্রাগ তৈরির ব্যবসা! তৈরি ল্যাব। আর সেখানে সপ্তাহে ছদিন তৈরি হচ্ছে নিষিদ্ধ নেশার ওষুধ। হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে হানা দিয়ে এমনই বড়সড় ড্রাগ র‍্যাকেটের পর্দাফাঁস করল তেলেঙ্গানা পুলিশ। ঘটনায় মালেলা জয় প্রকাশ গৌড় সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত মালেলা ওই বেসরকারি স্কুলের ডিরেক্টর। কীভাবে সবার নজর এড়িয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি স্কুলের মধ্যে এই ব্যবসা চালাত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, দফায় দফায় অভিযুক্ত মালেলাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তেলেঙ্গানা পুলিশে বিশেষ দল ড্রাগ ল ইনফোর্সমেন্ট (ঈগল) বিশেষ এই অভিযান চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলের একাধিক ক্লাসকে ল্যাবে পরিণত করা হয়েছিল। আর সেখানেই তৈরি হতো নিষিদ্ধ সাবস্ট্যান্স আলপ্রাকোলাম। ল্যাব থেকে বিপুল পরিমাণ ড্রাগ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, প্রায় ছয়মাস ধরে অভিযুক্ত স্কুল ডিরেক্টর এবং তাঁর দলবল এই ড্রাগ ব্যবসা চালাতেন। স্কুলের গ্রাউন্ড এবং ফার্স্ট ফ্লোরে ক্লাস চলত এবং এর উপর তলায় অর্থাৎ দ্বিতীয় তলায় চলত এই ড্রাগ তৈরির কারবার।

    সপ্তাহে ছয়দিন ধরে ওই ড্রাগ তৈরির কাজ চলত বলে দাবি পুলিশের। আর তা রবিবার করে বাজারে বিক্রি করা হতো বলেও তদন্তে জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত ওই স্কুল ডিরেক্টর তিনি নিজে কীভাবে ড্রাগ তৈরি করা হবে সে বিষয়ে ট্রেনিং দিতেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। তবে তল্লাশিতে অন্তত ৮টি রিয়েক্টর এবং ড্রায়ার উদ্ধার করা হয়েছে।

    তদন্তকারীদের অনুমান, বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ড্রাগ তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। শুধু তাই নয়, প্রচুর পরিমাণ কেমিক্যাল এবং ড্রাগ তৈরির উপকরণও উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৭ কেজি নিষিদ্ধ সাবস্ট্যান্স আলপ্রাকোলাম এবং প্রায় ২১ লাখ টাকা নগদও। ঘটনার পরেই ল্যাবগুলি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। স্কুলের মধ্যে ড্রাগ তৈরির ব্যবসা খবর সামনে আসতেই আতঙ্কে পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সবাই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)