অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ফের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিভিন্ন জায়গায় তিস্তার জল উঠে গিয়েছে বলে খবর। প্রবল বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। ধসের কবলে সেখানে একজন মারা গিয়েছেন বলে খবর। টানা ভারী বৃষ্টির কারণে ফের বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে পাহাড়ি তিস্তা।
গত কয়েকদিন ধরে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। সিকিমও অতি ভারী বৃষ্টির কবলে। উত্তর ও পশ্চিম সিকিমের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। দিন কয়েক আগে উত্তর সিকিমে ধসের কবলে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। গতকাল, শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিতে ফের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। পশ্চিম সিকিমে ধসের কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ধস নামছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
প্রবল বৃষ্টিতে আরও একবার বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে খরস্রোতা তিস্তা। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বেশ কিছু জায়গায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তিস্তার জল বইছে বলে জানা গিয়েছে। বিপদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিস্তায়। মহানন্দা নদীরও জল বাড়ছে। কার্যত ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা ও মহানন্দা। দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও ধসের কবলে পড়েনি। তবে সিকিমে জাতীয় সড়কে ধস নামার খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তর সিকিমে রিং খোলায় ভূমিধসের ফলে আপার জঙ্গুতে রাস্তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রবিবার ভোরে উত্তর সিকিমের আপার জঙ্গুতে রিং খোলায়ে একটি বড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে ফিদাং এবং সাংক্লাংয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। যাত্রীরা আটকে গিয়েছেন।
জাতীয় সড়কে যান চলাচলের সময় চালকদের সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পুজোর মুখে ফের এই ভারী বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় সড়ক ফের ধসের কবলে পড়লে পর্যটনের উপর সে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।