নলহাটিতে অবৈধভাবে চলছিল ওই পাথরখাদান, ৬ শ্রমিকের মৃত্যুতে গ্রেপ্তার মালিক
প্রতিদিন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবৈধ পাথর খাদানে ধস নেমে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল ৬ শ্রমিকের। বীরভূমের নলহাটির ওই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ তদন্তে নেমে এবার ওই পাথরখাদানের মালিককে গ্রেপ্তার করল। ধৃতের নাম সঞ্জীব ঘোষ ওরফে ভুলু। ধৃতকে এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
নলহাটির বাহাদুরপুর এলাকায় ওই অবৈধ পাথরখাদান রয়েছে। শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা ওই পাথরখাদানে কাজ করতে নেমেছিলেন। শ্রমিকরা পাথর কাটার কাজের সময় হুড়মুড়িয়ে উপর থেকে খাদানের মাটি, পাথর ধসে পড়ে। ওই ধসের নিচে চাপা পড়ে যান শ্রমিকরা। আতঙ্ক ছড়ায় অন্যদের মধ্যে। খবর যায় নলহাটি থানার পুলিশের কাছে। দ্রুত বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। ওই ঘটনায় ছয় শ্রমিক মারা যান। গুরুতর জখম অবস্থায় আরও চার শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। জখমরা রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার তদন্তে মেনে পুলিশ জানতে পারে ওই খাদানটি অবৈধ। নলহাটিরই বাসিন্দা সঞ্জীব ঘোষ নামে এক ব্যক্তি ওই খাদানের মালিক। পুলিশ তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। গতকাল, শনিবার রাতে নলহাটি এলাকা থেকেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আজ, রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে বলে খবর।
জেলাশাসক আমন দীপ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় আগে একাধিক অবৈধ পাথরখাদান বন্ধ করা হয়েছে। এই খাদানটিতে লুকিয়ে কাজ চলছিল। সেসময় ধস নেমে পাথর, মাটি চাপা পড়ে মারা যান ছয় শ্রমিক। আরও চার শ্রমিক গুরুতর জখম। খাদান মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কার মদতে ওই কাজ চলছিল? আর কে তাঁর সঙ্গে জড়িত আছে? সেসব বিষয় জানতে ধৃতকে হেফাজতে নেওয়া হবে। খাদানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন কোনও অবৈধ খাদান আছে কিনা, জানতে অভিযান চলবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।