• ‘১০ শতাংশের জন্য যাদবপুর নষ্ট’, ছাত্রীমৃত্যুতে SFI, CPM-কে দায়ী করলেন কল্যাণ
    প্রতিদিন | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: ছাত্রীমৃত্যু ঘিরে ফের সংবাদের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর ক্যাম্পাসের ঝিল থেকে উদ্ধার হয় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ। মদ্যপ অবস্থায় জলে পড়ে তাঁর মৃত্যু বলে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে কীভাবে এমন ঘটনা, তা নিয়ে ফের উত্তাল হয়েছে শিক্ষামহল। এবার যাদবপুরের এই ঘটনার নেপথ্যে বামেদের দায়ী করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! তাঁর দাবি, ”এসএফআই, সিপিএমের জন্যই যাদবপুরের এই অবস্থা। যেখানেই বামেরা থাকে, সেখানেই কিছু না কিছু গন্ডগোল হয়। ওরা কখনও সৃষ্টিমূলক কাজ করতে পারে না।”

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতি-বাম ছাত্র রাজনীতির ‘সক্রিয়তা’ নিয়ে বরাবরই সরব বিভিন্ন মহল। বিশেষত শাসকদল তৃণমূল একাধিকবার এনিয়ে অভিযোগ তুলেছে। যাদবপুর ক্যাম্পাসে যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই, তার নেপথ্যে দায়ী করা হয় অতি-বামমনস্ক পড়ুয়াদের। এবার কলা বিভাগের ছাত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতেও তাদের দিকেই কার্যত আঙুল তুললেন তৃণমূল সাংসদ। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”ওখানে যা ঘটেছে, তা নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে এসএফআই, সিপিএম, অতি বাম ? এরা সবাই মিলে যাদবপুরের পরিবেশ নষ্ট করছে। মাত্র ১০ শতাংশ ছেলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হচ্ছে। ওখানে কোনও অনুষ্ঠান হলে রাত ১১টা, ১২টা পর্যন্ত পড়ুয়াদের কোনও হুঁশ থাকে না, কুলকিনারা নেই কোনও।”

    কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও বক্তব্য, ”বামেরা থাকতেও কিছু করেনি, এখনও ওদের ভূমিকা একইরকম। যাদবপুর থেকে এখন নিষিদ্ধ জিনিসপত্র পাওয়া যায়। সব ওখানে গাঁজাখোর, নেশাখোর লোকজন, এরা সব বামপন্থী।” যদিও তৃণমূল সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছেন বামপন্থীরা। মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছেন সাংসদ, পালটা বাম নেতানেত্রীদের।
  • Link to this news (প্রতিদিন)